রাজ্যে ভারী থেকে মাঝারি বৃষ্টি সহ বজ্রপাতের সম্ভাবনা ঃ হাওয়া অফিস
HnExpress অরুন কুমার, ওয়েদার রিপোর্ট ঃ বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের জেরে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অতিভারী, ভারী থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি সহ বজ্রপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। মঙ্গলবার প্রকাশিত বিবৃতিতে জানা গিয়েছে যে,
এই মুহূর্তে নিম্নচাপ অনেকটা সরে গিয়ে উত্তর তেলেঙ্গানা সংলগ্ন অঞ্চলে অবস্থান করছে। এই নিম্নচাপের প্রভাবেই দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে বাতাস প্রবেশ করছে বাংলায়।
প্রথমেই বাতাস দক্ষিণবঙ্গের উপর দিয়ে প্রবেশ করবে, তারপরে উত্তরবঙ্গের উপর দিয়ে যাবে। এর ফলে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আগামী ২০ তারিখ পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি ও বজ্রপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আর উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও ২০ তারিখ পর্যন্ত ঝড় বৃষ্টি হবে। দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে উপকূলের দুটি জেলা, পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার একেক জায়গায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে।
এছাড়া উপকূল লাগোয়া কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুরের দু-এক জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাত হবে। কলকাতা সহ দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলিতে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে জানা গেছে। কয়েকটি জায়গায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হবে, বাকি দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। ১৯ তারিখ কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরেও বৃষ্টিপাত বজায় থাকবে।
২০ তারিখ শুধু বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদে অতি বৃষ্টি হবে, বাদবাকি জেলায় বৃষ্টির পরিমাণ কমবেশি থাকতে পারে। আগামীকাল দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ারের কয়েকটি জায়গায় এবং দুই দিনাজপুর, মালদাতে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা। ২০ তারিখ উত্তরবঙ্গের দুই দিনাজপুর ও কোচবিহারে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হবে। উত্তরবঙ্গের বাদবাকি জেলাতে শুধু ভারী বৃষ্টি হবে, দক্ষিণ-পূর্বের এই আবহাওয়ার জন্য দমকা হাওয়ার প্রভাবও থাকবে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইবে।
হাওড়া, নদিয়া, কলকাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে দমকা হওয়ার প্রভাব থাকবে। উপকূলে সমুদ্রে যেহেতু হাওয়ার গতিবেগ বেশি থাকবে, তাই আগামী ২০ তারিখ পর্যন্ত সমুদ্রের মাছ ধরতে যেতে মৎস্যজীবীদের নিষেধ করার পাশাপাশি, পর্যটকদের জন্যও চলছে সতর্কতামূলক প্রচার। এদিকে নিম্নচাপের জেরে সারা রাজ্য জুড়ে আরম্ভ হয়েছে ব্যাপক বৃষ্টিপাত। যার ফলে বেশ কয়েক জায়গায় হ্রাস পেয়েছে তাপমাত্রা। রাজ্যের মানুষও গরমের হাশফাশ অবস্থা থেকে কিছুটা মুক্তি পেয়েছেন।