ধেয়ে আসছে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় ‘তৌক্তে’,পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের

0

HnExpress অরুণ কুমার, ওয়েদার রিপোর্ট ঃ একেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে জেরবার অবস্থা দেশের। এবার তার ওপর দোসর হতে চলেছে আরেক ঘূর্ণিঝড়। আমফানের পরে এটা দ্বিতীয় তীব্র সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় বা সাইক্লোন। এ বিষয়ে দিল্লির মৌসম ভবন জানিয়েছে, আরব সাগরের ফুঁসছে এক ঘূর্ণিঝড়। মায়ানমার এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম রেখেছে ‘তাউকতাই’ বা তৌক্তে। গত মঙ্গলবার আইএমডি-র জারি করা বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আগামী শুক্রবার থেকে শনিবারের মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব আরব সাগরে এই নিম্নচাপ সৃষ্টি হবে।

এই নিম্নচাপ লাক্ষাদ্বীপ লাগোয়া উপকূল ধরে ক্রমশ উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। চলতি সপ্তাহে সংলগ্ন রাজ্যগুলিতে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে। উপকূলীয় অঞ্চলগুলিতে ইতিমধ্যেই কড়া সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। পাশাপাশি লাক্ষাদ্বীপ সহ দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে আগামী কয়েকদিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ১৪ই মে নিরক্ষীয় ভারত মহাসাগরে ঘণ্টায় ৫০-৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।

১৫ই মে তা বেগ বাড়িয়ে ৭০-৮০ কিলোমিটার হবে। পূর্ব-মধ্য আরব সাগর, দক্ষিণ-পূর্ব আরব সাগর সহ লাক্ষাদ্বীপ অঞ্চলে ১৬ই মে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৮০-৯০ কিলোমিটার হতে পারে।
আরব সাগরে উঠতে পারে ব্যাপক ঢেউ। দিন পাঁচেকের মধ্যেই আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা সেই ঝড়ের। মঙ্গলবার মৌসম ভবনের তরফ থেকে যে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে তা যদি সত্যি হয় তাহলে আগামী ১৬ই মে আরব সাগরে তুফান তুলবে এই ঝড়। আগে আপাতত আগামী কয়েক দিন ধরে একাধিক রাজ্যে বৃষ্টিপাত শুরু হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

মূলত দক্ষিণের কেরল, কর্ণাটক, লাক্ষাদ্বীপ এবং তামিলনাড়ুতে বৃষ্টি হবে বলে জানা গিয়েছে। মৌসম ভবনের তরফ থেকে দেওয়া সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে, ‘দক্ষিণ-পূর্ব আরব সাগরের ওপর দানা বাঁধছে নিম্নচাপ। ১৪ই মে সকালের মধ্যে সেই নিম্নচাপ তৈরি হবে। সেটি এগিয়ে যাবে উত্তর-পশ্চিমের দিকে ও ১৬ই মে সাইক্লোনের আকার নিতে পারে। যার জেরে আগামী বৃহস্পতিবার উত্তাল হতে পারে সমুদ্র।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ দের মতে, একুশের শুরুতেই ধেয়ে আসছে প্রথম সাইক্লোন তথা ঘূর্ণিঝড় ‘তৌক্তে’। মায়ানমারের দেওয়া নাম, যা ঘন্টায় ৬০ কিলোমিটার বেগে আছড়ে‌ পড়তে চলেছে উপকূলীয় অঞ্চলে।

উল্লে‌খ করা যেতে পারে যে,গত বছর ভয়াবহ আমফানে তছনছ হয়ে গিয়েছিল ঘর বাড়ি। একাধিক মৃত্যুর সাক্ষী হতে হয়েছিল বাংলা ও ওড়িশাকে। চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত কোনও ঘূর্ণিঝড় আছড়ে না পড়লেও এবার বছরের প্রথম সাইক্লোনের জন্য প্রস্তুত হওয়ার বার্তা দিল দিল্লির মৌসম ভবন।

FacebookTwitterShare

Leave a Reply Cancel reply