ইস্কন ভক্ত হওয়ায় মিলছে প্রাণের হুমকি, জ্বলছে ঘরবাড়ি, বাঁচার আশায় পালিয়ে আসছে ভারত সীমান্তে
HnExpress নিজস্ব প্রতিনিধি, উত্তর দিনাজপুর : চোপড়ার পর এবার কালিয়াগঞ্জ। উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে (India Bangladesh Border) অনুপ্রবেশের দায়ে ওপার বাংলার দুই বৃদ্ধাকে আটক করল বিএসএফ (BSF)। ধৃতদের আদালতে (Court) তোলা হলে বিচারক তাদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের (Jail Custody) নির্দেশ দেন বিচারক।
দুই বৃদ্ধা জানিয়েছেন কিছুদিন ধরেই বাংলাদেশে লাগাতার হুমকির মধ্যে পড়তে হচ্ছিল তাঁদের। সেখানে প্রতিদিন হিন্দুদের বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে, গবাদি পশু লুঠপাট ইত্যাদি চলছিল বলে অভিযোগ। সংখ্যালঘুদের (Minority) প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হচ্ছিল বলে দাবি করেন তাঁরা। তাই প্রাণের দায় বাধ্য হয়েই সীমান্ত পেরিয়ে এদেশে চলে এসেছেন তাঁরা।
পরিবার ইসকনের ভক্ত (ISKCON), বাংলাদেশে এখন সেটাই সবচেয়ে বড় অপরাধ। তাই বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিচ্ছিল মৌলবাদীরা। নইলে জোর করে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে বলেও বিস্তর অভিযোগ উঠে আসছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশে অত্যাচারের ভয়ে সম্প্রতি এপারে পালিয়ে আসে এক নাবালিকা (Bangladeshi Minor girl)। বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলায় বাস করে নাবালিকার পরিবার। কিন্তু ইসকনের ভক্ত হওয়াটাই তাদের বড় অপরাধ! নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে অসুস্থ মা-বাবাকে ফেলেই একা ভারতে আশ্রয়ের খোঁজে চলে আসে কিশোরী।
উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার ফতেপুর সীমান্তে তাকে আটক করে BSF। নাবালিকার ভারতীয় আত্মীয়কে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জেলা শিশু কল্যাণ সমিতির মাধ্যমে নাবালিকাকে প্রথমে হোমে পাঠানোর ব্যবস্থা করে পুলিশ। আজ ওই নাবালিকাকে ইসলামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
মা-বাবার একমাত্র মেয়ের অভিযোগ, পরিবার ইসকনের ভক্ত হওয়ায় তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। ফলে প্রাণ ও সম্মানের ভয়ে লুকিয়ে ভারতে চলে আসে বছর ১৫’র নাবালিকা। জলপাইগুড়ির বেলাকোবার বাসিন্দা ((Jalpaiguri West Bengal ) নাবালিকার আত্মীয় পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে চোপড়া থানায় আসেন। তাঁর আত্মীয় জানিয়েছেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু ও হিন্দুদের ওপর নিপীড়ন চলছেই। সেই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দ্রুত ব্যবস্থামূলক পদক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন নাবালিকার আত্মীয়।