লোক দেখানো গুনিন এর কাজ পিছনে আজাম হোসেন সেখ এর আসল কাজ হল দস্যুবৃত্তি
HnExpress জয় গুহ, দক্ষিণ ২৪ পরগণা ঃ এলাকা থেকে একের পর এক মোটর বাইক চুরির ঘটনার তদন্তে নেমে এক ঠগ গুণিনকে গ্রেফতার করল দক্ষিণ ২৪ পরগণার বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ। ধৃতের নাম আজাম হোসেন সেখ। বিষ্ণুপুর থানার আমড়াবেরিয়া ন’হাজারি এলাকা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সুত্রের খবর, ধৃতের বিরুদ্ধে জেলার বেশ কয়েকটি থানায় অভিযোগ করা রয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ধৃতের কাছ থেকে তিনটি চুরি যাওয়া মোটর বাইক উদ্ধার করা হয়েছে।
অভিযুক্ত আজাম হোসেন সেখ।
দিনের পর দিন এলাকা থেকে একের পর এক মোটর বাইক চুরির মত ঘটনা ঘটছিল। এবিষয়ে বিষ্ণুপুর, ঠাকুরপুকুর, বেহালা, মহেশতলা সহ ডায়মন্ড হারবার জেলার প্রায় সবকটি থানাতেই বাইক চুরির অভিযোগ দায়ের করছিলেন সেই সব ক্ষতিগ্রস্তরা। কার্যত প্রতিদিন এভাবে বাইক চুরি হচ্ছে দেখে নড়ে চড়ে বসল দক্ষিণ ২৪ পরগনার পুলিশ প্রশাসন। ফলত ডায়মন্ড হারবার জেলার বিভিন্ন রাস্তার মোড়েই লাগানো রয়েছে প্রায় সাতশো সিসিটিভি ক্যামেরা, গত কয়েকদিন ধরে সেই ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ। আর তাতেই আসে বড়সড় সাফল্য। দেখা যায় ঝাড়ফুঁক করার নাম করে ঠগ গুণিনের আড়ালে সে বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে সেখান থেকে মোটর বাইক চুরি করছে। তার মানে আজাম হোসেন সেখ এর আসল কাজ হলো দস্যুবৃত্তি।
যেকোনো রকম বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন।
শুক্রবার ও ঠাকুরপুকুর থানা এলাকা থেকে একটি বাইক চুরি করছিল সে। সেখানেই হাতে নাতে তাকে ধরে ফেলে পুলিশ। আর পুলিশি জেরার মুখে নিজের কৃতকর্মের সব কথা স্বীকার করেছে অভিযুক্ত। ইতিমধ্যেই পুলিশ ধৃতের বাড়ি থেকে তিনটি মোটর বাইকও উদ্ধার করেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও সাতটি বাইকের হদিসও মিলেছে। ধৃতকে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ লকাপে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হয়েতো এ বিষয়ে আরও অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্যসুত্র পাওয়া যাবে বলে দাবি তদন্তকারীদের। তবে এইভাবে একের পর এক এলাকা থেকে বাইক চুরি হওয়ায় আতঙ্কে দিন কাটাছিল, এদিন পুলিশের তৎপরতায় দোষী গুণিন বেশে ঠগ জোচ্চর আজাম হোসেন সেখ ধরা পরায় মানসিকভাবে আস্বস্ত হল সমগ্র এলাকাবাসী। তারা প্রশাসনের এই দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ ও অবিলম্বে অভিযুক্তে গ্রেফতার করায় তাদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ এলাকাবাসী।