এখন তিহার জেলই ঠিকানা অনুব্রত কন্যার

0


HnExpress নিজস্ব প্রতিনিধি : বাবার মতো তিহার জেলেই ঠিকানা হল অনুব্রত কন্যা সুকন্যার। আপাতত ১২ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। রবিবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে তাঁকে দিল্লির আদালতে হাজির করানো হয়। সেখানেই তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হলো।

গত বুধবার গরু পাচার মামলা নিয়ে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সুকন্যাকে। তারপর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-র হাতে গ্রেফতার হন তিনি। গ্রেফতারির পর শনিবার পর্যন্ত ইডির হেফাজতে পাঠানো হয় তাঁকে। সেই সঙ্গে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আইনজীবীর সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি দেওয়া হয়।

এই গরু পাচার মামলায় সাড়ে আট মাস আগে গ্রেফতার হয়েছিলেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তারপর থেকেই তদন্তকারীদের নজরে ছিলেন তার কন্যা সুকন্যা মন্ডল। বুধবার সকালেই ডেকে পাঠানো হয়েছিল সুকন্যাকে। দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় অনুব্রত-কন্যাকে।

ইডি সূত্রের দাবি, সুকন্যা মন্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় অসহযোগিতা করেন তিনি। তারপরই সন্ধ্যায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। গরু পাচার মামলায় অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে ইডি। অনুব্রত এবং তাঁর পরিবারের সম্পত্তি সংক্রান্ত সব খোঁজখবর জানতে সুকন্যাকেও তলব করেছিল ইডি।



গত মার্চ মাসেই তাঁকে একবার তলব করা হয়। কিন্তু তিনি হাজিরা এড়ান। তার আগের বার আইনজীবী মারফত চিঠি দিয়ে সুকন্যা বেশ কিছু দিন সময় চেয়েছিলেন। তৃতীয় বারও তিনি ইডির তলব এড়ান। তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানানো হয়, সুকন্যা নাকি শারীরিক ভাবে অসুস্থ।

সুকন্যার নামে বিপুল সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি ইডির। বোলপুরে তাঁর মালিকানায় প্রচুর জমিজমা রয়েছে। ব্যাঙ্কে ১৬ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজ়িটও রয়েছে সুকন্যার। এই সম্পত্তি হিসাব বহির্ভূত বলে দাবি ইডির। গরু পাচারকাণ্ডের সঙ্গে তাঁরও যোগ থাকতে পারে বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।

ইডি দাবি করেছে, বিপুল সম্পত্তি নিয়ে কেষ্ট-কন্যার কাছে প্রশ্ন করা হয়। কিন্তু তিনি সদুত্তর দেননি। তিনি জানিয়ে দেন, ওই সব প্রশ্নের উত্তর তাঁর বাবা এবং হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিই (যিনি এখন ইডি হেফাজতে) দিতে পারবেন। তিনি কিছু জানেন না।

FacebookTwitterShare

Leave a Reply Cancel reply