HnExpress নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা ঃ এই ‘মানব জমিন’ ছবি হলো ‘সুজলাং সুফলাং শষ্যশ্যামলাং মাতরম’ বাংলার ছবি। এ ছবি আমাদের গ্রামবাংলার চিরসবুজের ছবি। এ ছবি ধর্মীয় উন্মাদনা থেকে মুক্ত রাখার বার্তাবহ ছবি। শেষ পর্যন্ত জয় হয় ভালবাসার, বিজ্ঞানমনস্কতার।

কাশ্মীর, তিন তালাক প্রভৃতি নিয়ে নানা প্রশ্ন যখন ঘুরপাক খাচ্ছে, সেই আবহে মুক্তি পাচ্ছে ‘মানবজমিন’। ছবির মূল বক্তব্য, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। মূল শুটিং হয়েছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মালদহ-মুর্শিদাবাদের পদ্মায় বা নদীতীরের গ্রামে।

পরিচালক জয়দেব ঘোষ ছিলেন জ্ঞানেশ মুখার্জি এবং অসিত সেনের শিক্ষার্থী। কাজ করেছেন ‘আকাশবানী’-র গীতিকার হিসাবে। মুম্বাইয়ে শান্তিলাল সোনির অধীনে কাজ করেছেন বছর দুই। বাংলায় ‘দাগা ফিল্মস’-এর একটি ছবির পরিচালনায় সহকারীর কাজ করেছেন।

‘মানবজমিন’-এর স্ক্রিপ্ট জয়দীপবাবুর। এটাই তাঁর ডেবিউ ফিল্ম। যুগ্ম পরিচালনায় তাঁর সঙ্গে আছেন অরূপ বিশ্বাস। জয়দীপবাবু এই সংবাদ প্রতিবেদককে জানান, ছবির অভিনেতা এবং অভিনেত্রীরা সকলেই মঞ্চের।

যেকোনো রকমের খবর ও বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন।

ছবির গল্পের ভিত্তি গত শতকের ছয়ের দশকের গোড়ার। জমিদার ও পুরোহিতের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন যথাক্রমে প্রেমাঙ্কুর চক্রবর্তী এবং দিব্যেন্দু বর্ধন, কেন্দ্রীয় চরিত্রে বছর আটের একটি মুসলিম বালক নূরউদ্দিনের ভূমিকায় বিবসন মন্ডল। ওর বাবা পদ্মাপাড়ের মাঝি।

ছবিতে নূরের দিদি খুশবুর প্রতি জমিদারের প্রবল আকর্ষণের বিষয়টিকেও রেখেছেন পরিচালক। উল্লেখযোগ্য নারী চরিত্র খুশবুর ভূমিকায় আছেন যথাক্রমে ধ্রুপদী নৃত্যশিল্পী রুকসানা। এছাড়া কামাল ইকবাল ও তাঁর স্ত্রী জারিনার চরিত্রে নীলাদ্রি গঙ্গোপাধ্যায় ও রবীন্দ্র ভারতীর ছাত্রী সঙ্গীতা সরকার। সাপুড়ের ভূমিকায় তেজোময় ভট্টাচার্য। ১ ঘন্টা ৫৫ মিনিটের বই এটি।

জয়দেববাবু জানান, পৃথিবীতে মানবতাই শ্রেষ্ঠ ধর্ম— এটাই ছবির উপপাদ্য। এই সঙ্গে আছে রাগান্বিত হয়ে উপর্যুপরি ‘তিন তালাক’ পাওয়া আসন্ন প্রসবা স্ত্রী-র অসহায়তা, সর্পদংশনে মুমূর্ষুকে ওঝার কাছে নিয়ে যাওয়ার মত দৃশ্য। যেগুলো দর্শকের কাছে পৌঁছোবে সামাজিক বার্তার মত। লালন ফকিরের দুটি গানও ব্যবহার করা হয়েছে ছবিতে।

‘নন্দন’-এ ছবির মুক্তি পাওয়ার কথা আগামী ৬ই সেপ্টেম্বর। দেখানো হবে ‘নজরুল তীর্থ’-সহ একগুচ্ছ হলে। শুক্রবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রবাদ প্রতীম দেবকী কুমার বসুর পুত্র বিগত দিনের পরিচালক দেবকুমার বসু, চলচ্চিত্র সম্পাদক রাজা দে প্রমুখ। তাঁরা নিজেদের অভিজ্ঞতা এবং স্টুডিওপাড়া বদলে যাওয়ার অনুভূতির কথাও বলেন এদিন। টাইমস মিউজিক পরিবেশিত ছবির চারটি গানই ভীষণ আকর্ষণীয়।

FacebookTwitterShare

Leave a Reply Cancel reply