January 23, 2025

চিন থেকে আসা আরেক রোগের প্রাদুর্ভাব ভারতেও, ভাইরাস HMPV

0
Advertisements

HMPV Virud : চিনে বাড়বাড়ন্তের মাঝেই ভারতে সত্যিই কি HMPV ভাইরাসে আক্রান্ত ৮ মাসের শিশু? কি বলছেন চিকিৎসক থেকে বিশেষজ্ঞরা!

HnExpress নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা : চিন থেকে আসা আরেক রোগের প্রাদুর্ভাব প্রবেশ করলো ভারতেও। চিনে দাপট দেখানো এইচএমপিভি (HMPV) ভাইরাস ভয় ছড়াচ্ছিল গোটা এশিয়া জুড়ে। করোনা ভাইরাস জনিত অতিমারীর ঘা এখনও দগদগে। আবারও সেই  চিন থেকেই আরেক ভাইরাস ঘটিত রোগের প্রাদুর্ভাবের খবর পাওয়া গেলো। যদিও এখনই ভয় পাওয়ার মতো কিছু নেই বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারি স্বাস্থ্য সংস্থা (Central Health Department)।

বিশ্ব সংবাদ মাধ্যমের প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বেঙ্গালুরুতে এক আট মাসের শিশুর শরীরে মিলেছে এইচএমপিভি অর্থাৎ হিউম্যান মেটাপনিউমো ভাইরাস (HMPV)। বর্তমানে শিশুটি ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। কর্ণাটকের স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে যে, সরকারি ল্যাবরেটরিতে এখনো আক্রান্ত শিশুর নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি। সাথে শিশুর পরিবারের ভ্রমণের কোনও রেকর্ডও নেই। তাহলে কোথা থেকে এলো ভাইরাস (Virus)? ডাক্তাররা এখনও নিশ্চিত নয় যে এটাই HMPV ভাইরাস কিনা!

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরেই চিনে এই ভাইরাসের বাড়বাড়ন্তের খবর পাওয়া যাচ্ছে। তারই মধ্যে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে অজানা সূত্রের কিছু ভাইরাল ভিডিও (Viral VDO)। সেই ভিডিও সত্য নাকি মিথ্যা তা নিশ্চিতকরণ হয়নি এখনো। কিন্তু এরই মধ্যে ভারতে এইচএমপিভির (HMPV) প্রথম কেস উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে আগে ভাগেই জানানো হয়েছিল যে, ভারতীয়দের এখনই ভয় পাওয়ার কিছু নেই।   

চিকিৎসক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর উপসর্গ সাধারণ আবহাওয়া বদলের রোগের মতোই। যেমন– নাক দিয়ে জল পড়া, বুকে কফ জমা, শ্বাসকষ্ট, গলা ব্যথা জ্বর, গায়ে র‍্যাশ বেরনো ইত্যাদি। মূলত শিশু ও প্রবীণ ব্যক্তিদেরই এই ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের। প্রাণঘাতী না হলেও, করোনার মতো এই ভাইরাসও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সংক্রমণের মতোই। HMPV নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। HMPV ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে বলে কোনো খবর নেই। চিকিৎসকরাও বলছেন, এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। 

কিভাবে রোগটি প্রতিরোধ করবেন? যেহেতু এই ভাইরাসের কোনও টিকা নেই, তাই প্রতিরোধই একমাত্র পন্থা। চিকিৎসকদের পরামর্শ, কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান এবং জল দিয়ে নিয়মিত হাত ধুয়ে ফেলতে হবে। বাইরে থেকে বাড়ি এসে হাত স্যানিটাইজ (Sanitization) করা আবশ্যক। মুখে হাত দেওয়ার অভ্যেস একদম ছাড়তে হবে। সাবান হাতের কাছে না থাকলে অ্যালকোহল-বেসড হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা যায়। যদি পরিবারের কোনও সদস্যের কোনো উপসর্গ দেখা যায়, তাহলে তাঁকে কয়েকদিন বাড়ির বাকিদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। হাঁচি কাশি থেকেও সংক্রমণ হতে পারে। তাই উপসর্গ দেখা দিলে মাস্ক (Mask) ব্যবহার করুন।

Advertisements

Leave a Reply