আনন্দলোক হাসপাতালের কর্ণধার দেব কুমার সরাফের ৮০ তম জন্মদিন পালিত হলো রক্তদান শিবিরের মধ্য দিয়ে

0

HnExpress ২২শে জানুয়ারী, নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর ঃ সম্প্রতি বিধাননগর পৌর নিগমের অন্তর্গত সল্টলেকেরই এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আনন্দলোক হাসপাতালের কর্ণধার দেব কুমার সরাফের ৮০তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত হয়ে রক্তদান শিবির ও তৎসহ বেশ কিছু সেবামূলক কর্মসূচি।

বিগত প্রায় ৪০ বছর আগে টিউশনির সামান্য ক’টা টাকাকে সম্বল করে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এই আনন্দলোক হাসপাতাল। যার পরিব্যাপ্তি আজ বহু দূর দূরান্ত পর্যন্ত, কমপক্ষে ২২টি শাখা রয়েছে সারা রাজ্যজুড়ে। এই ৪০ বছর ধরে তিনি মুমূর্ষু রুগীর সেবায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করেছেন। এবং আগামীতেও সমস্ত বাঁধা বিপত্তি, চড়াই-উতরাই পেরিয়েও আর্ত মানুষদের সেবায় এই হাসপাতালকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চান, এমনটাই জানালেন দেব কুমার সরাফ।

এদিন তিনি সাংবাদিক প্রতিনিধিদের জানালেন যে, প্রায় সারা বছর ধরেই আমরা প্রতিনিয়ত হাসপাতালের পক্ষ থেকে চিকিৎসা ব্যবস্থা ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচি বা কিছু না কিছু সেবামূলক কার্যক্রমে ব্যাস্ত থাকি। এদিনও আমাদের রক্তদান শিবিরের পাশাপাশি রক্তদাতা ও সমাজের ৭০০জন পিছিয়ে পরা মানুষের হাতে শীতবস্ত্র এবং সংসারের যাবতীয় দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় উপকরণ তুলে দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জলনের মধ্য দিয়ে ও কেক কেটে মিষ্টিমুখ করে ৮০তম জন্মদিনের শুভ সূচনা করলেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিধান নগর পুরনিগমের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী, তৎসহ উপস্থিত ছিলেন মেয়র পারিষদ সুধীর সাহা সহ আরও অন্যান্য অতিথিবৃন্দ ও হাসপাতালের সকল বিভাগের কর্মীবৃন্দ এবং ইউনিয়নের কর্মীগণ। এখানে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের সবাই সমান পরিষেবা পেয়ে থাকেন।

এদিন প্রায় ১৫০ জন রক্তদাতা রক্তদান করেন এই শিবিরের একটি বেসরকারি ব্ল্যাড বাঙ্ক প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায়। কৃষ্ণা চক্রবর্তী বলেন, কিছু দিন আগেই কর্মীদের মধ্যে কিছু সমস্যা জনিত কারণে প্রায় বন্ধ হতে বসেছিল হাসপাতালটি। কিন্তু আজ সেই সুন্দর একটি মুহুর্তে আপনাদের সবার কাছে আমার একান্ত অনুরোধ যে আপনারা মুমূর্ষু রুগীদের সঠিক পরিষেবা দিয়ে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভাবে নিজেদের সমস্যা বা দাবী দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করুন।

তিনি আরও বললেন যে, আপনারা যদি নিজ নিজ সামাজিক দায়বদ্ধতা বজায় রেখে এবং শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রেখে আপনাদের সমস্যা নিয়ে আমার কাছে আসেন বা আমাকে যেকোনো সাহায্যের জন্য ডাকেন আমি আগেও ছিলাম, আর এখনো আছি, থাকব। তবে মাথায় রাখতে হবে যে আন্দোলন করতে গিয়ে বা নিজেদের দাবী জেতার জন্য যেন কোনো মুমূর্ষু রুগীর জীবন সংকট না ঘটে।

FacebookTwitterShare

Leave a Reply Cancel reply