হিমাচল প্রদেশে বেড়াতে গিয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যু এক যুবকের
HnExpress রাজ ঘোষাল, কলকাতা : হিমাচল প্রদেশে বেড়াতে গিয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যু (Un-natural death) এক যুবকের। বেড়াতে গিয়ে খাদে পরে মৃত্যু হয় শ্রীরামপুর মিউনিসিপ্যালিটির ট্যাক্স ডিপার্টমেন্টের কর্মরত অভিজিৎ দত্ত ওরফে ভাইটুর। সম্ববত একাই গেছিলেন বেড়াতে অভিজিৎ দত্ত। হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) সিমলা থেকে ২৬ কিলোমিটার দূরে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। জানা গেছে আকণ্ঠ মদ্য পান করে ছিলেন তিনি। মধ্যপান করেই বেড়াতে বেরিয়েছিলেন, আর তার ফলেই পা পিছলে টাল সামলাতে না পেরে গভীর খাদে পরে যান।
পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে সিমলার IGMC হাসপাতালে ভর্তি করেন। পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট এর পরেই মৃত্যুর কারণ বোঝা যাবে। যদিও প্রাথমিক ভাবে এমনই ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়দের বক্তব্য। একটি নোটিশ এবং বিজ্ঞপ্তি জারি করে হিমাচল প্রদেশের সিমলা (Simla) জেলার সানজাউলি পুলিশ পোস্টের এস আই রমেশ নেগী আবেদন জানিয়েছে অভিজিৎ দত্তের মৃতদেহ নিয়ে যাবার জন্য। মৃতদেহ এখন পুলিশের অনুমোদিক্রমে হাসপাতালের মর্গে পরিবার অথবা বন্ধুদের আসার অপেক্ষায় আটকে আছে।
যেহেতু অভিজিৎ দত্ত একাই বেড়াতে গিয়েছিল সেখানে, তার সাথে আর কেউ ছিল না। তার শ্রীরামপুরের বাড়িতে বৃদ্ধ মা এবং মামা থাকেন। এমতাবস্থায় তারা এতটাই অসুস্থ যে ছেলের মৃতদেহ হিমাচল থেকে গিয়ে নিয়ে আসতে অক্ষম। অভিজিৎ দত্তের বাবা অনেকদিন আগেই মারা গেছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে একটি নোটিশ (Notice) এবং লেটার জারি করে এমনই বিজ্ঞপ্তি আকারে জানানো হয়েছে।
যত দ্রুত সম্ভব পরিবারের পক্ষ থেকে এবং তার বন্ধুবান্ধব যে যেখানে আছেন তারা দয়া করে সানজাউলি থানার (Sanjhauli) পুলিশ এর সাথে যোগাযোগ করে তাদের সাথে সহযোগিতা করে। বিভিন্ন সূত্র মতে খবর থেকে যা জানা যাচ্ছে পরিবারের পক্ষ থেকে সেখানে গিয়ে তারপরে শ্রীরামপুরে (Srirampore) মৃতদেহ ফিরিয়ে এনে সৎকার করা প্রায় অসম্ভব। ফলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে হিমাচলেই তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। যেহেতু ঘটনাটা খুব ঘটেছে, তাই এই মুহূর্তে কি করা উচিত অসুস্থ অভিজিৎ দত্তের পরিবার সে বিষয় কিংকর্তব্যবিমূঢ়।
পাড়ার কিছু বন্ধুবান্ধব এবং শ্রীরামপুর কলেজের বন্ধু-বান্ধবরা কিছু টাকা পয়সা জোগাড় করে হিমাচল যাবার কথা ইতিমধ্যেই ভেবেছে। যেহেতু এই মুহূর্তে হিমাচলে (Himachal) গিয়ে মৃতদেহ সনাক্তকরণ করে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট সংগ্রহ করে সমস্ত আইনি জটিলতা কাটিয়ে সেখানেই তার মৃতদেহ সৎকার করার প্রক্রিয়া অনেকটাই ব্যয়বহুল। বন্ধু স্থানীয় পাড়ার লোকেরা এবং তার কলেজ ফ্রেন্ডরা কিছু টাকা পয়সা জোগাড় করেছে কিন্তু তা দরকারের থেকে অপ্রতুল।
সমস্ত ক্রিয়াকর্ম করতে তাও প্রায় ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকার মতন খরচ পরবে। অভিজিৎ দত্তের বন্ধু হেমন্ত কুমার ভড় সংবাদ মাধ্যমকে জানান যদিও ফিরিয়ে আনতে তারা বিভিন্ন মানুষের সাথে যোগাযোগ করছে এবং অর্থনৈতিক ব্যাপারে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসতে অনুরোধ করেছে।
(সোর্স হেমন্ত ভড়, শ্রীরামপুর কলেজ অভিজিৎ দত্ত/ভাইটু, ফ্রেইন্ড)।