লেক গার্ডেন্সে পড়শির মুখে থুতু ছেটানোর অভিযোগ এক প্রৌঢ়া ও তার ছেলের বিরুদ্ধে

0

HnExpress ২২শে এপ্রিল, জয় গুহ, কলকাতা ঃ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ যাতে আরও বেশি করে না-ছড়ায়, সেই জন্য যত্রতত্র থুতু ফেলা বন্ধ করতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে পুলিশ-প্রশাসন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকও রাস্তায় থুতু ফেলার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। যত্রতত্র কেউ কফ-থুতু ফেললেই এখন পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও রুজু করছে। আর সেই বিধি ভঙ্গ তো বটেই, এবারে একেবারে লেক গার্ডেন্সে পড়শির ও তার স্ত্রীর  গায়ে-মুখে থুতু ছেটানোর অভিযোগ উঠল এক প্রৌঢ়া ও তার ছেলের বিরুদ্ধে।

বচসার জেরেই ওই প্রৌঢ়া পড়শি ও তাঁর ছেলে থুতু ছিটিয়েছেন বলেই অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনাটি ঘটেছে লেক গার্ডেন্স এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত পড়শি ওই মহিলা ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৯ ধারায় (কটূক্তি করা), ৫০৬ (হুমকি দেওয়া), ২৬৯ ধারা (রোগ ছড়াতে পারে এমন কোনও কাজ করা) এবং ১১৪ (ঘটনাস্থল থেকে অপরাধে উৎসাহ দান) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। এমন অমানবিক ঘটনার অভিযোগ পেয়েই মামলা রুজু করেছে লেক থানার পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলেই জানা গেছে।

 

 

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতি ও তার জেরে লকডাউন শুরু হওয়ার পর পরই ওই দুই পড়শির মধ্যে গোলমাল চরমে ওঠে। যিনি অভিযোগ করেছেন, তিনি লেক গার্ডেন্সের একটি আবাসনের চারতলার ফ্ল্যাটে প্রায় ২২ বছর ধরে রয়েছেন। পেশায় বায়ো-মেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার তিনি। বৃহস্পতিবার ওই ব্যক্তি বলেন, ‘আমি যে ফ্ল্যাটে থাকি, সেটা নিয়ে মালিকের সঙ্গে একটা মামলা চলছে ঠিকই। কিন্তু সেটা একেবারেই আলাদা বিষয়। তবে করোনা নিয়ে সতর্কতা এবং লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকেই আমার পাশের ফ্ল্যাটের বাসিন্দা এক প্রৌঢ়া ও তাঁর ছেলে দিনরাত খোঁটা দিতে থাকেন।

তিনি আরও বলেন, কেন আমি এখানে আছি, কেন আমি নিজের রাজ্যে চলে যাচ্ছি না, এইসব বলে উক্তত্য করতে থাজে।’ আর এই নিয়েই নাকি গন্ডগোল এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে, বাইরে থেকে যে ব্যক্তি তাঁদের রেশন পৌঁছে দেন, যিনি বাঁকে করে জল দিয়ে যান, তাঁদেরও আবাসনে ঢুকতে নিষেধ করে দেওয়া হয়। ফলে, আরও বিপাকে পড়েন ওই অভিযোগকারী। সেই ব্যক্তির দাবি, তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গেও নিতান্তই দুর্ব্যবহার করতে থাকেন প্রৌঢ়া ও তার ছেলে। অবশেষে তারা আমাদের গায়ে মুখে থুতু ছেটানোর পরে ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে যায়, এবং তখন বাধ্য হই পুলিশের দ্বারস্থ হতে।

 

FacebookTwitterShare

Leave a Reply Cancel reply