ভোটে জিতলেই ৫ টাকার বিনিময়ে “অন্নপূর্ণা কেন্টিনে” মিলবে খাবার, এমনই দাবী অমিত শাহ এর

0

HnExpress, নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা ঃ “চাকরি না থাক, মিলবে গরম ভাত, মাত্র ৫ টাকাতে।” কিন্তু আমরা জানি মানুষের জীবন ধারণের জন্য শুধু অন্ন নয়, সাথে বস্ত্র এবং বাসস্থান খুবই দরকারি। তাই মাত্র ৫ টাকাতে ভাত মিললেও, বস্ত্র এবং বাসস্থান কি মিলবে শূন্য পকেটে? প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, করোনাকালে ভরা লকডাউনের সময় শ্রমজীবী ক্যান্টিন খুলে ছিল বামেরা।

অন্তত খিদে মেটাতে আমজনতার কাছে এই শ্রমজীবী ক্যান্টিনই ছিল বেঁচে থাকার রসদ। স্কুল, কলেজ, অফিস বন্ধ থাকার সাথে সাথে আগামী বিধানসভা ভোট প্রচারও বন্ধ ছিল। সেই সময়ে বামেরা এই প্রকল্প আরম্ভ করলেও বাকি রাজনৈতিক দল এই রকম প্রকল্পের কথা ভেবেও দেখেনি। কিন্তু এই মূহুর্তে ভোটকালীন লড়াইয়ে ৫টাকার বিনিময়ে ‘মা ক্যান্টিন’ প্রকল্প এর সূচনা করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আর ঠিক তারপরেই রাজ্যে জুড়ে তৈরি হতে চলেছে বিজেপি পরিচালিত ‘অন্নপূর্ণা ক্যান্টিন’। দিনে তিনবার মাত্র ৫ টাকার বিনিময়ে খাবার পাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তাঁরা। পাশাপাশি রেশনের চাল, গমের সঙ্গে থাকছে ন্যূনতম দাম এর ডাল, চিনি ও নুন। ভোটের প্রারম্ভে অমিত শাহ বিজেপির ইস্তাহারে এ কথা প্রকাশ করেন। তিনি জানান, “রাজ্য জুড়ে অন্নপূর্ণা ক্যান্টিন খোলা হবে। দিনে তিনবার ৫ টাকায় মিলবে খাবার”। যদিও অমিত সাহের এই কথাতেই আমজনতার অনেকাংশ ভয় পাচ্ছে।

কারণ অতীতে করোনাকালীন লকডাউনে বামপন্থীদের শ্রমজীবী ক্যান্টিন একপ্রকার লকডাউনে কর্মহীন মানুষদের মুখে অন্ন তুলে দেওয়ার জন্যই খোলা হয়েছিল। ভোটের পর করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা আসবার আগেই অমিত শাহের “অন্নপূর্ণা ক্যান্টিন” খোলার কথা কি আগত লকডাউন হওয়ারই ইঙ্গিত? বিজেপির “অন্নপূর্ণা” ঘোষনার আগেই তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরলে দুয়ারে দুয়ারে রেশন পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েই রেখেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বিজেপির সংকল্পপত্রে গণবণ্টন ব্যবস্থায় বলা হয়েছে, পিডিএসকে সার্বজনীন করে সমস্ত নাগরিকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। যোগ্য পিডিএস সুবিধাভোগীদের জন্য ভর্তুকিযুক্ত রেশন ব্যবস্থা থাকবে। চাল বা গম প্রতি কেজি ১ টাকা, ৩০ টাকা কেজিতে ডাল, লবণ প্রতি কেজি ৩ টাকা এবং চিনি প্রতি কেজি ৫ টাকায় পাওয়া যাবে। সোমবার বাঁকুড়ার কোতুলপুরে নির্বাচনী জনসভায় গিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো গেরুয়া শিবিরের ইস্তফাপত্র নিয়ে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, “মমতাকে টুকলি করে কোনও লাভ নেই।

চাল-ডালের দাম কমিয়েও লাভ নেই। গ্যাসের দাম বরং কমাও। আমাদের সরকার চাল, গম বিনামূল্যেই দেয়। সেই চাল ফোটাতে অনেক টাকা দিয়ে গ্যাস কিনতে হয়। তাহলে গৃহস্থের চলবে কী করে? গ্যাসের দাম না কমালে বড় রকম আন্দোলন হবে”। অন্যদিকে তৃণমূলকে খোঁচা দিয়ে অমিত শাহ বলেন, ‘রেশনে আর কোনও চুরি হবে না। লাগবে না কাটমানিও”।

FacebookTwitterShare

Leave a Reply Cancel reply