২১ শের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে মুখোমুখি সাক্ষাৎকারে আমডাঙ্গার বিজেপি প্রার্থী জয়দেব মান্না—

0

HnExpress প্রিয়দর্শী সাঁধুখা, রাজু দাস, আমডাঙ্গা ঃ হাইলাইট নিউজ এক্সপ্রেস ডিজিটাল মিডিয়ার মুখোমুখি হলেন আমডাঙ্গা বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জয়দেব মান্না। ইতিমধ্যেই জোর কদমেই চলছে ভোট যুদ্ধের রেষারেষি। অনেক জায়গায় ভোট প্রক্রিয়া শেষ, আবার কোনো জায়গায় এখনো চলছে প্রচার।

সেই ভোট প্রচারকালীনই আমডাঙ্গা বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জয়দেব মান্না প্রশ্ন উত্তরের মাধ্যমে আমাদের সংবাদ প্রতিনিধিকে জানালেন ২১ এর ভোট প্রস্তুতির নানা কথা ও আমডাঙ্গা বিধানসভায় বিজেপির ভুমিকা নিয়ে।

প্রশ্নঃ আগামী ২২ তারিখে উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙ্গা বিধানসভায় ভোট হতে চলেছে, এখানে এখনো কি কি কাজ বাকি আছে বলে আপনি মনে করছেন?

প্রার্থীঃ প্রথমেই সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানাই। বিগত পাঁচ দফা নির্বাচন শেষ হয়েছে। আমরা জানি যে মোট আট দফায় ভোট সমাপ্ত হবে। আপনাদের মিডিয়া থেকে অনেক মিডিয়া বলেই দিচ্ছেন যে আগামী দিন বিজেপি সরকার গঠন করবে এবং বাংলার মানুষ তাদের দুহাত ভরে আশীর্বাদ করছেন।

প্রশ্নঃ ভোটে জেতার পরেই আপনি আপনার বিধানসভা এলাকায় কি কি কাজ করতে চান?

প্রার্থীঃ আমাদের আমডাঙ্গা ব্লক এলাকায় একটি ডিগ্রি কলেজ হয়েছে। সেই কলেজে স্বজনপোষণ এত হয়েছে যে এখানে এখনো পর্যন্ত ছাত্র ছাত্রীদের পাঠাতে সাহস করছেন না তাদের পরিবার। ফলে এই ভোটে আমডাঙ্গা বিধানসভার মানুষ যদি আমায় আশীর্বাদ করেন তবে আমি প্রথমেই ভালো একটি ডিগ্রি কলেজ বানাতে সচেষ্ট হব। এছাড়াও এখানে যে শ্মশান রয়েছে সেখানে সঠিক ভাবে ইলেকট্রিক চুল্লি লাগিয়ে মানুষের হাতে তুলে দেব এবং ব্লক হাসপাতালটিকে সংস্কার করবো।

প্রশ্নঃ মানুষের কাছে আপনি ঠিক কি ইস্যু নিয়ে ভোট প্রচারে যাচ্ছেন?

প্রার্থীঃ সাধারন মানুষই বলে দিচ্ছেন যে, হাজার হাজার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা আসা সত্তেও তাঁরা পাতার বাড়িতে বাস করছেন। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার সুযোগ পাইনি তাঁরা। বিজেপি ক্ষমতায় এলে সবার জন্য পাকা বাড়ির ব্যাবস্থা করে দেব, এটাই আমার কাছে মূলত প্রচারের বিষয়।

প্রশ্নঃ ২১শের হাড্ডাহাড্ডি ভোট যুদ্ধের ময়দানে এই বিধানসভা থেকে কাকে বিরোধী হিসেবে মনে হচ্ছে, তৃণমূল কংগ্রেস নাকি সংযুক্ত মোর্চা?

প্রার্থীঃ দেখুন, এখানে বিরোধী হিসাবে ৫১ শতাংশ ভোট পেয়ে আমিই জিতবো। তাই যাঁরা আমার সাথে বা বিজেপির সাথে লড়ছে তাঁরা কেউই বিরোধী নয়। কিন্তু সাধারণ মানুষকে নিয়ে বিভাজনের রাজনীতি করেছে তৃনমূল কংগ্রেস। আমাদের একটাই স্লোগান হল, সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশওয়াস। সেই নীতি নিয়েই আমরা আমরা মানুষের কাছে ভোট প্রচারে যাচ্ছি।

প্রশ্নঃ এন.আর.সি, অথবা সি.এ.এ নিয়ে আমডাঙাবাসিকে আপনি কি বার্তা দিতে চান?

প্রার্থীঃ অমিত সাহ জী তো বলেছেনই, করোনা মহামারী চলাকালীন এন আর সি, অথবা সি.এ.এ এর যে আইন করা হয়েছে তা শুরু করতে পারা যায়নি। তবে বাংলাদেশ থেকে মতুয়া সম্প্রদায়ের যে মানুষরা ছিন্নমূল হয়ে বসবাস করছে তাদের হাতে সি.এ.এ এর শংসাপত্র তুলে দেবো আমরা।

প্রশ্নঃ ২১ এর ভোটে শীতলকুচিতে যে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটল তা নিয়ে আপনার অভিব্যক্তি কি?

প্রার্থীঃ বিভাজন বিভেদের যে রাজনীতি হচ্ছে তার জন্য আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দায়ী। তিনি এর আগেও একটি শ্রেনীকে দুষ্কৃতী মুলক কাজে লাগিয়ে জয়ী হয়েছেন। যার ফলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে আমাদের চারজন ভাই নিহত হয়েছেন।

প্রশ্নঃ চারিদিকে রব উঠেছে খেলা হবে, খেলে হবে। এমনকি এ নিয়ে একটি গানও রিলিজ হয়েছে, আমডাঙার মাটিতে কি রকম খেলা হবে বলে আপনি মনে করছেন?

প্রার্থীঃ খেলা হবে কথাটি একটা ছেলেমানুষী শব্দ যা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সহজ পাঠে ব্যবহার করে ছিলেন, “বেলা হল। স্নান করে আসি। তারপর খেলা হবে। বাংলাদেশের এক ভদ্রলোক বিভেদের রাজনীতি করেন। তিনিও এই খেলা হবে কথা তুলে ছিলেন। তাই এখানে তাঁরই এক দোসর অনুব্রত মন্ডল খেলা হবে কথাটি বলে ছিলেন। আর আমরা বলছি খেলা হবে না, বরং উন্নয়ন হবে, সোনার বাংলা গড়বো আমরা।

পরিশেষে, গ্রীষ্মের এই দাবদহের ভিতর ভোট প্রচারের মাঝেও তাঁর মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য তাঁকে চ্যানেল এর পক্ষ থেকে জানাই আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ—

FacebookTwitterShare

Leave a Reply Cancel reply