HnExpressঅশোক সেনগুপ্ত, কলকাতা,১৭ সেপ্টেম্বর ঃদেশের আইন অনুসারে যে সব ভারতীয় নাগরিকের বয়স ষাট বছর বা তার বেশি তাঁরাই প্রবীণ নাগরিক হিসাবে গণ্য হন। ইউনাইটেড নেশনস পপুলেশন ফান্ড এবং হেল্পএজ ইন্ডিয়ার একটি রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতে ২০১১ সালে প্রবীণ নাগরিকের সংখ্যা ছিল ৯ কোটি। ২০২৬ সালে তা ১৭ কোটি ৩০ লক্ষে পৌঁছে যাবে। ৯ কোটি প্রবীণ নাগরিক এর মধ্যে ৩ কোটি মানুষই একা বসবাস করেন। এবং ৯০ শতাংশ প্রবীণ নাগরিককেই বেঁচে থাকার জন্য কাজ করতে হয়।
যার ফলে নানা ভাবে বাড়ছে প্রবীণদের মধ্যে এক অসহায়তা। শারীরিক সমস্যা তো লেগেই আছে। পরবর্তী প্রজন্ম কাজের সুবাদে অন্যত্র চলে যাওয়ায় একদিকে প্রবীণরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। আবার অন্যদিকে হারাচ্ছেন কথা বলার মত লোক। আর্থিক সঙ্কটেও পরে ভুগছেন অনেকেই।
যেকোনো রকমের খবর ও বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ঃ ৬২৮৯২৩৫০৭৬।
এই অবস্থায় সমাজে বিশেষ বার্তা দিতে এগিয়ে এল ‘মেডিক্যাল ব্যাঙ্ক’ নামে হাটখোলার একটি সামাজিক সংগঠন’। বিশ্বকর্মা পুজোর প্রাক্কালে তারা স্থানীয় বয়স্কদের মাধ্যমে ছোটদের ঘুড়ি বিতরন করল। ঘুড়ির ওপর লেখা— ‘খোঁজ খবর’। এছাড়া লেখা “আপনার পাড়ায় বয়স্ক মানুষটির খোঁজ নিন, পাশে থাকুন।”
এদিন ‘মেডিক্যাল ব্যাঙ্ক’-এর কর্ণধার ডি আশিস বললেন, সংবিধানের ৪১ নম্বর অনুচ্ছেদে প্রবীণ নাগরিকদের স্বাচ্ছন্দ্যের কথা বলা হয়েছে — ‘রাষ্ট্র তার উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক ক্ষমতার মধ্য থেকে প্রবীণদের ক্ষেত্রে সরকারি সাহায্য পাওয়ার সুনিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেবে।’ সমতার অধিকারকে সংবিধানে মৌলিক অধিকারের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা প্রদানের বিষয়টি কেন্দ্র ও রাজ্যের যৌথ দায়িত্বের মধ্যেও পড়ে।