একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও পুলিশের তৎপরতায় এলাহাবাদ থেকে উদ্ধার হলো মধ্যমগ্রামের এক নাবালিকা

0

HnExpress ইন্দ্রানী সেনগুপ্ত, মধ্যমগ্রাম ঃ মাস দুয়েক আগে উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রাম এলাকারই বাসিন্দা একটি ১৪ বছরের শিশুকে কিডন্যাপ করে পাচার করা হয়। আর এই মর্মে মধ্যমগ্রামের একটি সেচ্ছাসেবী সংস্থা, যারা সারা বছরই কোনো না কোনো সমাজসেবামূলক কাজ করে থাকে। এবং বিশেষ করে মহিলা ও প্রান্তিক শিশুদের সুস্থ ও সুরক্ষিত জীবন দেওয়ার লক্ষে কাজ করে চলেছে তারা।

সেই “মধ্যমগ্রাম সৃষ্টিরপথে” নামক সংস্থায় খবর আসে, পাচারকারীদের ফোনের কল লিস্ট থেকে জানা গেছে তারা এখন রাজস্থানের ঝিনজুন এলাকায় অবস্থান করছে। এরপরেই সংস্থা থেকে বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে মধ্যমগ্রাম থানাকে ইনফর্ম করে। থানার ওসির আদেশ অনুযায়ী এসআই পীযুষ মন্ডলের তত্বাবধানে পুলিশের একটি বিশেষ রেস্কিউ টিম রেডি করে রাজস্থানের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।

কিন্তু দিল্লীর চাইল্ড লাইন, শক্তিবাহীনি ও লোকাল পুলিশ ফোর্স নিয়ে গিয়ে সেখানকার রেড লাইট এরিয়ায়ে রেট করেও কোনো হদিশ পাওয়া যায়নি মেয়েটির। কারণ সুত্রের খবর, তার অনেক আগেই সেখান থেকে মেয়েটিকে এলাহাবাদে পাচার করে দেওয়া হয়। তবে সেখানেও রেট করে খোঁজ মেলেনি তাঁর। কিন্তু এই অপারেশন চলাকালীন রেড লাইট এরিয়া থেকে একটি মহিলা পাচারকারী ধরা পরে।

যেকোনো রকমের খবর ও বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন।

আর তাকে পুলিশি কায়দায় জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, রাজস্থান থেকে শিশুটিকে নিয়ে আসার পথে শিলচরে পাচার করা হয়। আর সেই সুত্র ধরে ২৬শে জুলাই রেস্কিউ টিম এর তৎপরতায় উদ্ধার করা তাকে। তবে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও পুলিশ প্রশাসন এর দ্রুত সৃজন মূলক পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে আজ এক নতুন জীবন ফিরে পেল নাবালিকা কন্যা শিশুটি।

গতকাল, ৩০ শে জুলাই “মানব পাচার দিবস” এর দিন ঘরে ফিরলো ঘরের মেয়ে। অন্যদিকে দুই মহিলা পাচারকারী সহ আরও পাঁচজনকে মধ্যমগ্রাম তদন্তকারী অফিসার এদিন আটক করেন। মধ্যমগ্রাম থানার ওসির দ্রুত পদক্ষেপ ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এর আন্তরিক প্রচেষ্টায় মেয়েটি সুরক্ষিত অবস্থায় ফিরতে পেরেছে তার আপনজনদের কাছে। প্রসঙ্গত, মধ্যমগ্রাম সৃষ্টির পথে সারা বছর ধরেই নানান সচেতনতা বৃদ্ধির উপর কাজ করে চলেছে।

তবে এই বিষয় সংস্থার সম্পাদিকা নূপুর ঘোষ বললেন, যে আরো প্রান্তিক এলাকায় এবং স্কুলে স্কুলে গিয়ে তাদেরকে সচেতন করতে হবে এবং এর পাশাপাশি শিশু সুরক্ষা নিয়ে আরও অনেক বেশি করে সচেতনতা শিবির করা প্রয়োজন। সমাজের সবারই দায়িত্ব শিশুদের সুরক্ষিত রাখার, তাই আপনারাও এই মহৎ কাজের উদ্দেশ্য সংঘবদ্ধভাবে এগিয়ে আসুন। নিজে সুরক্ষিত থাকুন, পরিবারকে সুরক্ষিত রাখুন।

FacebookTwitterShare

Leave a Reply Cancel reply