বাবাকে ভিডিয়ো কল করেই হস্টেলের ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র

0

HnExpress ২০শে ডিসেম্বর, জয় গুহ, যাদবপুর ঃ বাবাকে ভিডিয়ো কল করেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের ন’তলা থেকে ঝাঁপ মেরে আত্মঘাতী হলেন এক ছাত্র। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রের নাম সুজন সামন্ত। ১৯ বছরের সুজন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্সের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, সুজন বেশ কয়েক মাস ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন।

এদিকে পুলিশ সূত্র অনুযায়ী জানা গিয়েছে, আসানসোলের বাসিন্দা এই সুজন গরফার প্রতাপগড়ের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। সেখান থেকেই সে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াত করতেন। এ দিন সন্ধ্যা পৌনে সাতটা নাগাদ হঠাৎই ভারী কিছু পড়ার আওয়াজ পান কয়েক জন ছাত্রছাত্রী। আর তাঁরাই প্রথম দেখতে পান হস্টেলের এক দিকে মাটিতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন ১৯ বছরের ওই ছাত্র।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে খবর পেয়ে সুজনকে যাদবপুর থানার পুলিশ এমআর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এরপর তদন্তে নেমে পুলিশ প্রথমেই আসানসোলে তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তখনই তাঁর বাবা পুলিশকে জানান যে, বেশ কিছুদিন যাবৎ মানসিক অবসাদে ভুগছিল সুজন। এদিন সন্ধ্যায় বাবাকে ভিডিয়ো কল করে কয়েক মিনিট কথাও বলেন সুজন।

তখনই বাবাকে হঠাৎ নিজের আত্মহত্যা করার কথা বলেন সুজন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কথোপকথনের সময়েই সুজনের বাবা আঁচ করেছিলেন যে, ছেলে কোনো এক অজ্ঞাত কারণে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন। কিন্তু ফোন রেখেই যে সে ওরকম কিছু একটা সত্যিই করে ফেলবে, তা নাকি ভাবতে পারেননি তিনি। আর এ-ও জানা গেছে যে, এর আগেও দু’বার সুজন আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন।

কিন্তু কেনইবা সুজন মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন এবং তা কতটা গভীর ভাবে তাঁকে স্পর্শ করেছিল যে এমন একটা হটকারি সিদ্ধান্ত নিতে হল সে বিষয় এখনও স্পষ্ট নয় কিছু। বিশ্ববিদ্যালয়ের সূত্রে পুলিশ জানতে পেরেছে, সুজন উচ্চমাধ্যমিকে বেশ ভাল ফল করেই যাদবপুরে ভর্তি হন। তবে কি তিনি সম্প্রতি পড়াশোনা সংক্রান্ত কোনও বিষয় নিয়ে অবসাদে ভুগছিলেন? সমস্ত বিষয় টা এখনো সম্পূর্ণ ধোঁয়াশার মধ্যে, তাই এর ধোঁয়াশার জাল ছিন্ন করতে যথেষ্ট গভীরে গিয়ে তদন্ত সহকারে খতিয়ে দেখছেন জেলা পুলিশ।

FacebookTwitterShare

Leave a Reply Cancel reply