তেহট্টের একই পরিবারের ৫ সদস্যের করোনা পজিটিভ, রাজ্যে আক্রান্ত বেড়ে ১৫
HnExpress ২৮শে মার্চ, সুদীপ ঘোষ, নদীয়া ঃ তিন দিন আটকে থাকার পরে হঠাৎ করে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক ধাক্কায় বেড়ে দাঁড়াল ৫। নদিয়ার তেহট্টে একই পরিবারের ৫ জন সদস্যই এক সাথে করোনা ভাইরাস পজিটিভে আক্রান্ত হওয়ার খবর আসে শুক্রবার রাতেই। জানা গিয়েছে, নদিয়ার তেহট্টের এক বাসিন্দা চলতি মাসেই ইংল্যান্ড থেকে ফিরেছিলেন দিল্লিতে। স্বাস্থ্য দপ্তর সুত্রে জানা গিয়েছে, তার পরিবারই থাকে নদিয়ার তেহট্টে।
এদিন সেখানে একটি পারিবারিক অনুষ্ঠান ছিল। আর লকডাউন চলাকালীন অবস্থায় সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চলে আসেন লন্ডন ফেরত ঐ ব্যক্তিটিও। যদিও তিনি থাকেন দিল্লিতেই। তাঁকে দেশে ফেরার পরই কোয়ারানটিনে থাকতে বলা হয়েছিল। কিন্তু সেই সরকারি নির্দেশ রীতিমতো অমান্য করেই তিনি চলে আসেন এই অনুষ্ঠানে। প্রসঙ্গত, তাঁঁর দেহে করোনার জীবাণু পাওয়া যাওয়ায় তাঁকে দিল্লির হাসপাতালেই ভর্তি করা হয়েছে। আর এদিন তাঁকে দেখতেই গিয়েছিলেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
সেখানে বাড়ির সদস্যকে দেখতে গিয়েছিলেন তাঁর পরিবারের ১৩ জন সদস্য। গত ২০ তারিখ তাঁরা সকলেই দিল্লি থেকে কলকাতায় ফেরেন। এরপরই তাঁদের সকলকে সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী কোয়ারেন্টিনের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। বৃহস্পতিবারই তাঁদের সকলের লালারস ও রক্ত পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। আজ, শুক্রবার এঁদের সকলের রিপোর্ট আসে। সেখানেই পাঁচ জনের দেহে করোনা ভাইরাস পজিটিভ রিপোর্ট মিলেছে। তারপরেই তাঁদের বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদের মধ্যে একটি ৯ মাসের, একটি ৬ বছরের শিশু, ১১ বছরের এক বালক, ২৭ বছরের এক তরুণী ও ৪৫ বছরের এক মহিলা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যা সত্যিই আশঙ্কার খবর। এই পাঁচজন ব্যক্তির দ্বারা কতজন মানুষ যে আক্রান্ত হয়েছেন, এখন স্বাস্থ্যভবন সেটাই খুঁজে দেখছে। যদিও এর আগে বালিগঞ্জের এক পরিবারের ৩ জন সদস্যের দেহেই এই করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গিয়ে ছিল। এবার নদিয়া জেলার তেহট্টের এই পরিবারে ৫ জনের দেহেও পাওয়া গেল করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব। যা সত্যিই চিন্তা বাড়াল রাজ্য প্রশাসনের।
ইতিমধ্যেই রাজ্যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যুও হয়েছে। পাশাপাশি, নয়াবাদের এক বাসিন্দার অবস্থাও অত্যন্ত খারাপ। তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। তাঁর পরিবারের চার সদস্যকেও ইতিমধ্যেই সরকারি কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এখন তাঁদের কী রিপোর্ট আসে সেদিকেই তাকিয়ে প্রশাসনের কর্তারা। যদিও তেহট্টের এই পরিবারের বাকি ৮ জন সদস্যের শরীরে করোনার ভাইরাস মেলেনি। নদীয়ার জেলা শাসককে ইতিমধ্যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে দেখার জন্য