৩০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তের দখল নিল আরাকান আর্মি! বিপদ কি বাড়ল বাংলাদেশের?
HnExpress ব্যুরো রিপোর্ট, বাংলাদেশ : বাংলাদেশে সীমান্তের ২৭০ থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার অঞ্চল এবার দখল নিলো মায়ানমারের আরাকান সেনারা (Myanmar AraKhan Army)। কলকাতা তো বটেই, এমন কি উত্তর পূর্ব ভারতের সাতটি রাজ্যও দখল করে নেওয়ার স্বপ্ন দেখছেন বাংলাদেশি জনতার একাংশ৷
প্রাক্তন সেনাকর্তা, রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, যে যা পারছেন ভারতকে (India) হুমকি দিচ্ছেন৷ ঠিক এরকম পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘ ২৭০-৩০০ কিলোমিটার দীর্ঘ দখল করে নিল মায়ানমারের জুন্টা সরকারের (Junata government) বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি৷ রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে এমনিতেই জেরবার বাংলাদেশের চিন্তা আরও বেড়ে গেলো৷
এর আগেই মায়ানমারের ক্ষমতাসীন জুন্টা সরকার জানিয়ে দিয়েছিল তারা কোনও রোহিঙ্গা (Rohingya) শরণার্থীকে আর ফেরত নেবে না৷ সেখানে বিদ্রোহী এবং বৌদ্ধ ধর্মাবিলম্বী আরাকানরা তো রোহিঙ্গাদের কোনো স্বীকৃতিই দেয় না৷ রবিবার মায়ানমার সেনার কাছ থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত (Bangladesh Border) লাগোয়া মংডু শহরেরও দখল নিয়ে নেয় আরাকান আর্মি৷ এর ফলে বাংলাদেশ সীমান্ত বরাবর ৩০০ কিলোমিটার এলাকার পুরোটাই তাদের দখলে চলে গেল৷
প্রতিবেশী দেশের সীমান্তে এই অস্থিরতা বাংলাদেশের চিন্তা বাড়াতে বাধ্য৷ কারণ ২০১৫ সালে এই আরাকান আর্মির সঙ্গে বিজিবি-র দু’বার সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে৷ এই আরাকান বাহিনী (Arakhan Force) অতীতে একাধিকবার টেকনাফ অঞ্চলের সমুদ্র পথ থেকে বাংলাদেশি জেলে সহ ট্রলারও অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছে৷ ভারত দখলের চিন্তা করতে না করতেই বাংলাদেশের নিজের এলাকা দখল হয়ে গেলো।
মায়ানমারের (Myanmar) গণমাধ্যম ইরাবতীতে দাবি করা হয়েছে বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া তিনটি প্রধান শহর মংডু, রাখাইনের বুথিডং এবং শিন এলাকা পালেতাওয়ার এখন আরাকান আর্মির দখলে চলে গিয়েছে। মায়ানমার সীমান্ত অশান্ত হয়ে ওঠার কারণে চলতি বছরের শুরুর দিকে ফেব্রুয়ারি মাসে বেশ কিছুদিন টেকনাফ সেন্ট মার্টিন (Saint Martin) রুটে জাহাজ চলাচলও বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে বর্তমান বাংলাদেশ সরকার৷