দিনহাটার ছিটমহলে মানুষের সুবিধা-অসুবিধার কথা জানতে গেলেন সুজন চক্রবর্তী

0

HnExpress ২৪শে ফেব্রুয়ারি, সৌভিক সিংহ রায়, দিনহাটা ঃ সাবেক ভারতীয় ছিটমহলের যেসব বাসিন্দারা ভারতের মূল ভূখণ্ডে এসে দিনহাটার সিট ক্যাম্পে রয়েছেন তাদের জীবন দুর্বিষহ। মাত্র ৩০ কেজি চাল, এক প্যাকেট দুধ দিয়ে তাদের দিন অতিবাহিত করতে হচ্ছে। ছিটমহল বিনিময়ের পর প্রায় চার বছর অতিক্রান্ত হয়েছে অথচ তাদের পুনর্বাসন হয়নি এখনো। তাদের পুনর্বাসনের জন্য কত টাকা বরাদ্দ হয়েছে তাও তারা জানতে পারছেন না। আজ দিনহাটার ছিটমহলে মানুষের সেইসব সুবিধা অসুবিধার কথাই জানতে গেলেন সুজন চক্রবর্তী।

বিষয়টি ফের বিধানসভায় তোলা হবে। সোমবার দিনহাটায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী একথাই বলেন। এদিন তিনি দিনহাটার কৃষি মেলায় অবস্থিত ছিটে গিয়ে সেখানকার মানুষজনের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের অভাব অভিযোগ শোনেন। এদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন সিপিআইএম জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য তারাপদ বর্মন, শুভ্রালোক দাস, মণীন্দ্র চন্দ্র রায় প্রমূখ।

সুজন বাবু বললেন, দিনহাটার এই সিট ক্যাম্পে মাত্র ৫৮ টি পরিবার রয়েছে। তাদের জন্য যে ফ্ল্যাট বাড়ি তৈরি হচ্ছে তা সঠিকভাবে হচ্ছে না, এমনই অভিযোগ উঠেছে। যে মানুষ গুলি অনেক আশা নিয়ে ভারতের মূল ভূখণ্ডে চলে এসেছিলেন আজ তাদের মোহভঙ্গ হচ্ছে। এর জন্য দায়ী কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকার। তারা তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছেন না। বিষয়টি এর আগে বিধানসভায় তোলা হয়েছিল, রাজ্যপালকেও জানানো হয়েছিল।

কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বিষয়টি নিয়ে ফের বিধানসভায় তোলা হবে বলে সুজন বাবু জানান। কৃষি মেলা সিট ক্যাম্পে পরিদর্শনের পর সুজন বাবু সাবেক বাংলাদেশি ছিট মহল বাত্রিগাছে যান। সেখানকার মানুষের সমস্যা শোনেন তিনি। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ৩১শে জুলাই বাংলাদেশের ৫১টি সিট মহল ভারতীয় ভূখণ্ডের সঙ্গে মিশে যায়। ভারতীয় ১১১টি সিট মহল বাংলাদেশের ভূখণ্ডের সঙ্গে মিশে যায়। বাংলাদেশি ছিটমহল গুলোর সমস্ত বাংলাদেশী নাগরিক তারা ভারতীয় নাগরিকত্ব গ্রহণের পক্ষে সায় দেন।

অপরদিকে ভারতীয় ছিটমহলে প্রায় বেশকিছু নাগরিক যারা ভারতীয় নাগরিকত্ব বজায় রাখার পক্ষে মতামত ব্যক্ত করেন, এরপর তারাই ভারতীয় ভূখণ্ডে চলে আসেন। সরকারের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। অথচ দীর্ঘ চার বছর কেটে গেলেও আজও পুনর্বাসন দেওয়া হয়নি দিনহাটা সিট ক্যাম্পে থাকা সাবেক ছিটমহলের সমস্ত বাসিন্দাদের।

 

FacebookTwitterShare

Leave a Reply Cancel reply