October 11, 2024

স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার ‘অপরাধে’ বেদম প্রহারে মৃত্যু প্রতিবেশীর, ৭ বছরের কারাদণ্ড হল অপরাধীর

0
Advertisements

HnExpress ওয়েবডেক্স নিউজ ঃ গতবছর জুলাই মাসের ঘটনা। ১১ জুলাই, ট্যাংরা থানায় এসে গুরুতর একটি অভিযোগ করেন কাজল সরকার নামের এক প্রৌঢ়া। তিনি জানান, প্রতিবেশী গোবিন্দ ভুঁইঞার হাতে প্রহৃত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর বড় ছেলে মিন্টু সরকারের।

মিন্টু কাজ করতেন একটি মাংসের দোকানে। বয়স ২৮, শারীরিকভাবে খানিক দুর্বল। সেদিন রাতে কাজ থেকে বাড়ি ফেরার পর প্রতিবেশী গোবিন্দ ভুঁইঞার স্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্যমূলক সামান্য দু-একটি কথা বলেছিলেন মিন্টু। তা শুনেই অগ্নিমূর্তি ধারণ করে গোবিন্দ। তার স্ত্রীর সঙ্গে মিন্টু একটি ছেলে হয়ে কেন কথা বলছে, তা নিয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি জুরে দেয় সে। মিন্টু তার উত্তর দিতে গেলে বাদানুবাদ চরমে ওঠে। রাগের মাথায় এরপর মিন্টুকে চড়-থাপ্পড়-ঘুষি মারতে শুরু করে গোবিন্দ।

বুকে-পিঠে গুরুতর আঘাত পেয়ে মাটিতে পড়ে যান মিন্টু। খিঁচুনি শুরু হয় তাঁর। কিন্তু দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। চিকিৎসকরা জানান, তাঁর মৃত্যু হয়েছে অনেক আগেই। আর সেই রাতেই অভিযুক্ত গোবিন্দ ভুঁইঞাকে গ্রেপ্তার করেন এই কেসের তদন্তকারী অফিসার ট্যাংরা থানার সাব ইনস্পেকটর গুলাম গৌস খান। ১৪ জন সাক্ষীর বয়ান-সমেত চার্জশিটও জমা দেওয়া হয় দ্রুতই।

আর সেই কেসেরই রায় বেরিয়েছে গতকাল, ২৯শে মে ২০১৯। অনিচ্ছাকৃত খুনের অপরাধে গোবিন্দ ভুঁইঞার ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন মাননীয় বিচারক। সঙ্গে আরও ২০,০০০ টাকা জরিমানা। জরিমানা অনাদায়ে কারাদণ্ডের মেয়াদ বাড়বে আরও ২ মাস। মাত্র ১০ মাসের মধ্যে অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত করেছেন এই কেসের তদন্তকারী অফিসার ট্যাংরা থানার সাব ইনস্পেকটর গুলাম গৌস খান। বর্তমানে তিনি রাজাবাগান থানায় কর্মরত।

ছবি ও তথ্যসূত্র ঃ কলকাতা পুলিশের সোস্যাল পেজ থেকে।

Advertisements

Leave a Reply