কলকাতায় সরকারি হাসপাতাল এর গাফিলতিতে সদ্যোজাতর মৃত্যুর অভিযোগ
HnExpress দেবাশিস রায়, কলকাতা : এবার গ্রামের সীমানা পেরিয়ে শহরের এক সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠল। আর সেটি হলো শহরের প্রাণকেন্দ্র বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতাল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে এবার প্রাণ গেল সদ্যোজাতর।
জানা গেছে, বাঁশদ্রোণীর বাসিন্দা সৌমিক সরকারের গর্ভবতী স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা সরকার বিগত ৯ মাস ধরে ওই হাসপাতালেরই চিকিৎসক অনিল দাসের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসারত ছিলেন। ২২ সেপ্টেম্বর, শনিবার রাতে ওই মহিলার লেবার পেন উঠলে তাঁকে বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। রাত দেড়টা নাগাদ তাঁকে ভর্তি করানোর পর পরিবারের লোকজন জানতে পারে চিকিৎসক অনিল দাস বর্তমানে হাসপাতালে নেই।
তিনি না থাকায় চিকিৎসক এ. সরকার এর তত্ত্বাবধানে ওই মহিলাকে ভর্তি করানো হয়েছে। পরদিন রবিবার, ২৩ তারিখ দুপুর ২টো নাগাদ ফের ব্যথা শুরু হয় প্রিয়াঙ্কার। পরিবারের পক্ষ থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানানোও হয় ফরসেফ ডেলিভারি করিয়ে দেওয়ার জন্য। কেননা তিনি ব্যথা সহ্য করতে পারছেন না। যদিও ডাক্তার চেক করে সৌমিকবাবুদের বলেন, রোগীর যা অবস্থা তাতে স্বাভাবিক ডেলিভারিই হবে। অন্য উপায় অবলম্বনের দরকার নেই। এদিকে পরবর্তী সময়ে ডাক্তার সরকার ওই মহিলার চিকিৎসা করেছেন বলে অস্বীকারও করেছেন বলে পরিবার সূত্রে অভিযোগ।
অবশেষে বিকেল ৪টে নাগাদ ওই মহিলাকে লেবার রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় পরিবারের লোকজনেরা রোগীকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ারও অনুরোধ করেন চিকিৎসকদের। তখনও তাঁদের আশ্বাস দেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যে রোগিনী ভালো আছেন। তবে এ অবস্থায় অন্যত্র স্থানান্তরিত করা উচিত হবে না। সন্ধে ৬টা নাগাদ ডাক্তার রাউন্ডে এলে জানা যাবে রোগীর অবস্থা। ফের রাত ৮টার সময় বলা হয় বাচ্চার মাথা দেখা যাচ্ছে। দুজনেই সুস্থ আছে বলেও নার্সেরা জানান। আর রাত ৯টায় বলা হয় মৃত পুত্র সন্তানের জন্ম হয়েছে।
এদিকে রোগিনীর অভিযোগ, লেবার রুমে কোনও ডাক্তার বা নার্স ছিলেন না ডেলিভারি হওয়ার সময়। প্রায় তিরিশ মিনিট চিৎকার করে ডাকার পর তাঁরা আসেন। ততক্ষণে যা বিপদ হওয়ার হয়ে গেছে। মৃত সন্তানের জন্ম দেন মা।
পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁদের জানিয়ে ছিলেন যে রবিবার সিজার করা হয় না। তবে কর্তৃপক্ষ কেন রোগীকে আটকে রেখেছিল? প্রশ্ন মৃত সন্তানের বাবা সৌমিকের। তাঁর আরও অভিযোগ, এধরনের আচরণের প্রতিবাদ করলে রোগীর পরিজনদের মারধরও করা হয়। এই মর্মে তাঁরা নেতাজিনগর থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন। প্রয়োজনে আদালতেও যাবেন বলে জানিয়েছেন সৌমিকবাবু। বিষয়টি ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করেছেন তিনি।
So sad . Health sector is completely irresposable .