হালিশহরে গুলিতে নিহত যুবকের পরিবারকে চাকরির আশ্বাস অর্জুনের

HnExpress দেবাশিস রায়, হালিশহর : বন্ধুর গুলিতে আহত রাজেশ ঠাকুর ওরফে পিন্টুর মৃত্যু হয় শনিবার। আজ, রবিবার বিকেল যখন তার মরদেহ হালিশহর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের পল্লি উন্নয়ন সমিতির কাছে আসে তখন উপচে পড়ে এলাকার মানুষের ভিড়। হাজির হন কাঁচরাপাড়া পুরসভার প্রধান সুদামা রায়, হলিশহরের যুবনেতা সুদীপ্ত দাস। তাঁরা দেখা করেন মৃতের পরিবারের সঙ্গে। সেখানেই সুদীপ্ত জানান, বিষয়টি গভীর সমবেদনার সঙ্গে দেখে মৃতের পরিবারের একজনকে ভাটপাড়া পুরসভায় চাকরির আশ্বাসও দিয়েছেন পুুুুরপ্রধান অর্জুন সিং। একথা মৃতের বাবা রাকেশ ঠাকুর শুনেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। আর বলতে থাকেন, সাট্টা-জুয়ার প্রতিবাদ করে আমার ছেলেটা চলে গেল।
প্রসঙ্গত, মৃত পিন্টু খড়দহের একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করত। সে একাই ছিল পরিবারের রোজগেরে মানুষ। বাবা জুটমিলের প্রাক্তন শ্রমিক। পিন্টুর মা-বউ ছাড়াও একটি দশমাসের পুত্রসন্তান রয়েছে। সেদিকে তাকিয়েই বিধায়ক অর্জুন সিং মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন বলেই এলাকার মানুষের অভিমত।
ঘটনা সূত্রে প্রকাশ, ২১ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ পিন্টু ক্লাব চত্বরে জুয়ার আসরের প্রতিবাদ করায় তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় শুভ নামে আরেক যুবক। গুলি লাগে পিন্টুর পা ও পেটেও। পিন্টুকে সঙ্গে সঙ্গে কল্যাণীর জে এন এম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি। পরদিন সকাল ১১টা নাগাদ রাজেশ এর মৃত্যু হয়। এঘটনায় এলাকায় চান্চল্য ছড়ায়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে গেছিল বীজপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশি তল্লাশিতে ধরা পড়ে শুভ। উদ্ধার হয় আগ্নেয়াস্ত্রটি। আরও জানা গেছে, আততায়ী শুভ স্থানীয় এক দুষ্কৃতী সূরজ মাহাতোর অনুগামী বলে পরিচিত।
যদিও এঘটনা সম্পর্কে সেই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুজাতা বিশ্বাসের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। তিনি ওই মৃত যুবকের পরিবারের সঙ্গে দেখাও করেননি। স্বভাবতই এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ তাঁর এই আচরণে। তাই জানা যায়নি গুলিচালনার ঘটনায় তাঁর বক্তব্যও কি।