October 11, 2024

হাওড়া জেলার সর্বত্র এখন ছেলেধরার আতঙ্ক

0
Advertisements

HnExpress স্টাফ রিপোর্টার, হাওড়া ঃ হাওড়া জেলার সর্বত্রই এখন শুধু ছেলে ধরা আতঙ্ক বিরাজ করছে। এই ভয়ে বাবা-মা সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠানোর সাহসও পর্যন্ত পাচ্ছেনা। যেদিকে কান যায়, শুধু শোনা যায় ‘ছেলে-ধরা, ছেলে-ধরা’। যদিও আন্দুল, নলপুর, উলুবেড়িয়া, আমতা, বাগনান, শ্যামপুর প্রভৃতি জায়গায় গিয়ে বাস্তবে কোন ছেলে-ধরার সন্ধান মেলেনি। এমনকি এই সম্পর্কে কোন সঠিক তথ্যও কেউ দিতে পারেনি। তবে ছেলে-ধরা সম্পর্কে প্রায় সবখানেই গুঞ্জন রটেই যাচ্ছে। অনেক অভিভাবকের কাছে প্রায় একই কথা শোনা যাচ্ছে।

কিন্তু কখন, কিভাবে, কার ছেলে নিয়ে গেছে তা কেউ জানাতে পারেননি এখনো অব্দি। এই বিষয়েও কোন অভিভাবকই সঠিক উত্তর দিতে পারেননি, শুধু লোকমুখে শোনা কথা বলে নিজেদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করছেন।হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশ এই বিষয় নিয়ে কাউকে বিভ্রান্ত বা আতংকিত না হওয়ার জন্য আহবান জানিয়েছেন। রাজ্যে গুজব নিয়ন্ত্রণে একদিকে যখন কঠোর হচ্ছে পুলিশ, অন্যদিকে তখন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিভিন্ন সন্দেহের জেরে গণপিটুনির ঘটনাও। কখনও ছেলেধরা, কখনও কিডনি পাচারকারী, এমনই সব কথা শোনা যাচ্ছে। গুজব ছড়ানো ও চোর সন্দেহে মারধরের অভিযোগে পুলিশ ইতিমধ্যেই ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। কিন্তু, তা সত্ত্বেও গণপিটুনির ঘটনা ঘটেই চলছে। তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গুজবের অভিনবত্ব। স্প্রে করে বেঁহুস করে দিয়ে বাচ্ছা চুরি করে পালাচ্ছে নাকি একদল বোরখা পরা মহিলা।

এই ধরনের গুজবে মানুষ এতটাই বিশ্বস্ত হয়ে পড়েছে যে কোনও বাচ্ছা স্কুল থেকে বাড়ি ফিরতে দেরি করলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে তাদের শিশুকে কেউ চুরি করে নিয়ে পালিয়েছে। দেখা যাচ্ছে, সেই সময় সেই জায়গার উপস্থিত ফেরিওয়ালা, বাইরে থেকে আগত রাজমিস্ত্রি ও ভবঘুরের উপরে সন্দেহ গিয়ে পড়ছে আতঙ্কিত কিছু এলাকাবাসীর। আর তারপরেই শুরু হয়ে যাচ্ছে গণপিটুনী। প্রায় সবক্ষেত্রই পুলিশকে তার বিশালবাহিনী নিয়ে গিয়ে উদ্ধার করতে হচ্ছে ঐ আক্রান্তদের। তবে এই মুহুর্তে জেলা পুলিশের পাশাপাশি সিআইডিও ঘটনার উপর নজর রাখতে শুরু করেছে বলে সুত্রের খবর।

তবে আপনাদের কাছে আমাদের আবেদন, নতুন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ধরনের গুজবে কান দিয়ে কোন পোস্ট বা শেয়ার করবেন না, নিজে বিভ্রান্ত হবেন না, আর অপর কাউকে অকারণে ভয় দেখিয়ে বিভ্রান্ত করবেন না। কারন মনে রাখবেন যে, আপনার সোশ্যাল অ্যাকাউন্টটিও সাইবার ক্রাইম সেলের নজরে আছে। তবে আপনি অস্বাভাবিক কিছু দেখলেই আগে থানায় ফোন করুন আর তাদের বিস্তারিত জানান। যা করার পুলিশ প্রশাসনই করবে। অহেতুক আতঙ্ক ছড়াবেন না।

Advertisements

Leave a Reply