স্বচ্ছতাই হল সেবা : প্রচারে বিলির্ভাস ইস্টার্ন চার্চ
HnExpress অলোক আচার্য, মধ্যমগ্রাম : গান্ধী জয়ন্তীর প্রাক্কালে গান্ধীজির পরিচ্ছন্নতার আদর্শকে সামনে রেখে উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামের আব্দালপুরের বিলির্ভাস ইস্টার্ন চার্চের উদ্যোগে একটি পরিচ্ছন্নতা অভিযান “স্বচ্ছতাই সেবা” আয়োজিত হল ২৯ শে অক্টোবর বারাসত জেলা হাসপাতালে।
বিলির্ভাস ইস্টার্ন চার্চের কাজই হল সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের সেবায় নিয়োজিত থাকা—তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য আয় বৃদ্ধির সহায়ক সামগ্রী যেমন ভ্যান রিকশা, সেলাই মেশিন কিনে দেওয়া, কিংবা গবাদি পশু পালনে সাহায্য প্রভৃতি বিষয়ে ব্যবস্থা করে থাকে। এর পাশাপাশি সমাজের দুর্বলতর শ্রেনীর মানুষদের সুস্থ জীবন দানের চেষ্টা করে থাকে, যাতে তারা অজ্ঞতা ও দারিদ্র্যের অন্ধকার থেকে নিজেদের মুক্ত করতে পারে।
এই চার্চেরই একটি শিশু সুরক্ষা প্রকল্প হল ‘ব্রিজ অফ হোপ’ যেখানে পশ্চিমবঙ্গের ৪৫০০ দরিদ্র শিশুদের পরিবারসহ সমস্ত ভারতের ৮০০০০ শিশুদের জন্য সাহায্য করা হয়ে থাকে। দারিদ্র সীমার নীচে বসবাসকারী শিশুদের সুস্থ জীবন দান করার জন্য তাদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, দৈনিক সুষম খাদ্য, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, বিনামূল্যে শিক্ষা প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সমাজের পরিচ্ছন্নতার কথা মাথায় রেখে এই চার্চের পক্ষ থেকে প্রায় হাজারখানেক প্রস্রাবাগার ও স্নানাগার নির্মাণ করা হয়েছে সমগ্র রাজ্য জুড়ে। সেই সঙ্গে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে অনেক পরিচ্ছন্নতা অভিযানও আয়োজিত হয়েছে।
এদিনের অভিযানে চার্চের ৫০ জন যুবক ও সদস্যরা সক্রিয় অংশ গ্রহণ করেন —মানুষের মধ্যে পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে এবং একটি সুস্থ ও সুন্দর পরিবেশ গঠনের অঙ্গীকার তৈরি করতে। অভিযানে অংশগ্রহণকারীরা প্রত্যেকে হাতে গ্লাভস ও মুখে মাস্ক পড়ে, ঝাঁটা, বালতি ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য সামগ্রী হাতে নিয়ে নেমে পড়েন চারপাশের পরিবেশ পরিষ্কার করতে।
পরিচ্ছন্নতার অভিযানটি শুরু হয় সকাল ১০ টা নাগাদ এবং চলে বেলা ১২টা পর্যন্ত। স্বাস্থ্যকর্মীরাও তাদের আন্তরিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেন চার্চের এই মহতী প্রয়াসকে সফল করে তুলতে। এদিন উপস্থিত ছিলেন চার্চের সেক্রেটারি ফাদার সৌমেন পান্ডা, ফাদার শম্ভু দাস, ফাদার সত্যজিৎ সামুয়েল, ডিন ফাদার বিনোদ ডিগাল, ডিন ফাদার অবনী নায়ক, মুখ্য হিসাব রক্ষক অ্যাকুইলাস এম এম, জনসংযোগ আধিকারিক বিহিত ঘন্টা, যুব প্রতিনিধি বেঞ্জামিন কারাডো এবং আরও বিশিষ্টজনেরা।