‘স্পীড বেকার’ দিদি বলে শিলিগুড়ির সভা থেকে মমতাকে জোরালো আক্রমণ মোদীর
HnExpress নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি : আমি গোটা দেশে যেভাবে কাজ করতে পেরেছি, বাংলায় সেই গতিতে কাজ করতে পারিনি। তাঁর অন্যতম কারণ পশ্চিমবঙ্গে একটা স্পিড ব্রেকার আছে। আর সেই স্পিড ব্রেকারকেই এখানকার লোক মমতাময়ী ‘দিদি’ বলে জানে। এদিন মোদী বললেন, দেশের গরীব মানু্ষের সব চেয়ে বড় সমস্যা চিকিৎসার সমস্যা। আমি গরীব মানুষের জন্য আয়ুষ্মান ভারত চালু করেছি যাতে গরীব মানুষ ৫ লক্ষ টাকা অবধি বিনা ব্যয়ে চিকিৎসা করাতে পারেন কিন্ত আপনাদের বাংলায় সেই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করতে দেয়নি আপনাদের দিদি।
শিলিগুড়ির সভায় দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী বললেন, অনুরূপ ভাবেই কিষান সম্মান যোজনাতেও বাধা দিয়েছে এই দিদি। সব রাজ্যে ওই স্কিমে কৃষকদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকছে। কিন্তু এই রাজ্যে সেই স্কিম কাজ করছে না। যারা কষ্ট করে টাকা জমিয়েছিল, চিটফান্ডে দিয়েছিল, দিদি তাদেরই ক্ষতি করেছে। দিদির গরীবদের জন্য কোনও চিন্তা নেই। দারিদ্র্য যদি শেষ হয় যায়, তাহলে দিদির অসুবিধা হবে। কংগ্রেসেরও একই অবস্থা। গরীব থাকলে তবেই না এদের রাজনৈতিক লাভ হবে।
সম্প্রতি পাকিস্তানে ভারতীয় বায়ু সেনার এয়ার স্ট্রাইক নিয়ে মমতা জানতে চেয়েছিলেন, ঠিক কত জঙ্গি মারা গেছে। তাকেই কটাক্ষ করে মোদীর কটাক্ষ, ‘বালাকোটে গিয়ে জঙ্গিদের খতম করে এসেছে জওয়ানরা। পাকিস্তানের কাঁদা উচিৎ। আর কেঁদেছে দেশেরই লোকজন।
উপস্থিত জনতাকে মোদীর প্রশ্ন, ”পাকিস্তানের ঘরে ঢুকে মেরে এসেছে। আপনাদের বুক চওড়া হয়েছে কিনা?”
নিজেকে আরেকবার চৌকিদার বলে পরিচয় দিয়ে মোদী বললেন, ‘একদিকে আছে ইমানদার চৌকিদার আর অন্যদিকে শুধুই দাগাবার।’ সরাসরি মমতাকে কটাক্ষ করে মোদীর বক্তব্য, ”লাহোরে, রাওয়ালপিন্ডিতে যত না কষ্ট পেয়েছে, কলকাতায় বসে তার থেকেও বেশি কষ্ট পেয়েছেন তিনি।” উত্তরবঙ্গের চা শিল্পের সেন্টিমেন্টকে উস্কে দিয়ে তিনি যে চা বিক্রি করতেন তা মনে করিয়ে দিয়ে মোদীর প্রতিশ্রুতি, ”আমি চাওয়ালা হয়ে চা শিল্পের উন্নয়ন করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।” যথারীতি মোদী এদিন সেনাবাহিনী নিয়ে সুড়সুড়ি দিতেও ছাড়েননি। তাঁর শেষ আবেদন ছিল, ”আমাদের সেনা বাহিনীকে বিপদে ফেলার প্রচেষ্টা ব্যর্থ করতে হবে একমাত্র আপনাদেরই।”