স্কুলের ব্যাগটা বড্ড ভারী…..দারুণ কষ্ট হয়!
HnExpress দেবনাথ চক্রবর্তী, বিশেষ প্রতিবেদন : একসময়ে কবির সুমনের কথায়-সুরে মর্মস্পর্শী এই গান বাংলার ঘরে ঘরে শোনা গিয়েছিল। বহুবার দরবার করা হয়েছিল রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকার এর কাছে। দেড় যুগ টাল বাহানার পরে অবশেষে টনক নড়লো কেন্দ্রীয় সরকারের। পরিবর্তন করা হলো পঠন-পাঠন ও কমল হোমওয়ার্কের কাজও ।
দীর্ঘদিন অভিভাবকরা এবং এক শ্রেণীর শিক্ষকরা অভিযোগ জানিয়ে আসছিলেন শিশুদের উপর অতিরিক্ত বোঝা চাপানোর বিরুদ্ধে।
একটি শিশুর ব্যাগের ওজন ছিলো আট থেকে দশ কিলো। ক্রমশ শিশুদের হোমওয়ার্কের বোঝায় তারা শৈশব ভুলতে বসেছিল। মনস্তাত্বিক দিক থেকেও দুর্বল হয়ে পড়ছিল তারা। পাশাপশি পর্যাপ্ত খেলাধুলা করার পরিবেশ না থাকায় ক্রমশ ঘরকুনো ও বিভিন্ন বাজারি খেলাধুলায় অভ্যস্ত হয়ে পড়ছিল শিশু সমাজ। এবার বোধহয় শিশুদের সমাজ এই ধরনের শিক্ষা-নিপীড়ন থেকে খানিকটা মুক্তির আলো খুঁজে পেল।
সরকারের মানবকল্যাণ উন্নয়ন দপ্তরের তরফ থেকে সিবিএসসি ও আইসিএসসি-র মতো বোর্ডগুলিকে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীতে শুধু ভাষা, অংক ও পরিবেশবিদ্যা ছাড়া আর কিছু পড়ানো যাবে না। থাকবে না কোনও হোমওয়ার্কও। ব্যাগের ওজন হতে হবে সর্বোচ্চ ১.৫ কিলো। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর জন্য ব্যাগের ওজন হতে হবে সর্বোচ্চ ২-৩ কিলো। পঞ্চম ও ষষ্ঠ শ্রেণীর জন্য ব্যাগের ওজন ধার্য হয়েছে সর্বোচ্চ তিন থেকে সাড়ে তিন কিলো। যথাক্রমে সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণীর জন্য ৪ কিলো এবং নবম দশম শ্রেণীর জন্য সর্বোচ্চ ৫ কিলো ওজনের ব্যাগ।
মানবকল্যাণ দপ্তরের এহেন নির্দেশিকায় উৎফুল্ল শিশু থেকে অভিভাবক এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশ। আশা করা যায় এর ফলে কমবে পড়ার চাপ বাড়বে মানসিক প্রফুল্লতা যা আগামী ভবিষ্যতের জন্য ভীষণ জরুরি। তাহলে কবীর সুমন কি এবার নতুন গান বাঁধবেন! সময়ই শেষ কথা বলে॥
খবরটি অবশ্যই খুশির ।
শুভেচ্ছা……