গান্ধী মোড়ে বন্ধ হোক আড্ডার আসর
HnExpress দেবাশিস রায়, কাঁচরাপাড়া : কাঁচরাপাড়া গান্ধী মোড়ে সভা-সমাবেশ বা যেকোনও রকম জমায়েত এখন নিষিদ্ধ আদালতের নির্দেশে। গতবছর ডিসেম্বরের ১৮ তারিখ এক বিশেষ মামলায় এই নির্দেশ জারি করেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক। জানা যায়, বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব ৫ তারিখ, দ্বিতীয় দফায় ১৪ বা ২০ ডিসেম্বর ওখানে সভা করতে চেয়ে বীজপুর পুলিশের অনুমতি চায়। পুলিশ প্রশাসন নিরাপত্তার কারণে কোনওদিনই সেই সভার অনুমতি না দেওয়ায় বিজেপি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ১৪ ডিসেম্বর। বিচারপতি রাজ্যের তৎকালীন অ্যাডভোকেট জেনারল কিশোর দত্তর কাছে কারণ জানতে চান। শ্রীদত্ত তার জবাবে জানান, জায়গা ঘিঞ্জি, পথচারীদের খুব অসুবিধা হবে সভার অনুমতি দিলে। ফলে আইনশৃঙ্খলারও অবনতি হতে পারে। যেকারণেই পুলিশ অনুমতি দেয়নি।
সবকিছু শোনার পর বিচারপতি বসাক ওই অঞ্চল অর্থাৎ গান্ধী মোড়ে সমস্ত রকম সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে দেন।
আর বীজপুরের প্রতিটি শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ এই রায়কে স্বাগত জানান। সেই রায়ের পর কেটে গেছে প্রায় আট-নয় মাস। কিন্তু এলাকার জট কাটেনি। আদালতের নিষেধ সত্ত্বেও মাঝে মাঝেই ঢাকা পরে যায় গান্ধীর মূর্তি। একশ্রণির ব্যবসায়ী জাঁকিয়ে বসে সেখানে ব্যবসা ফেঁদে বসেছেন। রয়েছে ফুল-ফলের দোকান, চা-সিগারেটের একাধিক দোকান। আর তার জেরের ক্রমেই বাড়ছে উঠতি যুবকদের আড্ডাখানা। বাড়ছে মহিলাদের প্রতি অশালীন ব্যবহার। ওই যুবকদের রাখা বাইকের দাপটে পথ চলাই দায় হয়ে পড়েছে। এতে যারপরনাই বিরক্ত সামনের বড় ব্যবসায়ীরা। তাঁরা অনেকেই স্থানীয় ৩ নম্বর ব্যবসায়ী সমিতির নেতাদের বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার জানালেও কোনও ফল হয়নি। কোনও লাভ হয়নি বীজপুর পুলিশকে জানিয়েও। তাই তাঁরা সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে বিষয়টি তুলে ধরতে চেয়েছেন আশু সমাধানের জন্য। বীজপুর প্রেস ক্লাবের তরফ থেকেও সমস্যাটি মৌখিকভাবে তুলে ধরা হয়েছে বীজপুর পুলিশ প্রশাসনের কাছে। আশা করা যায় কিছুদিনের মধ্যেই সমস্যাটির সমাধান হয়ে যাবে। কিন্তু সেটা যতোদিন না হচ্ছে ততোদিন গান্ধী মোড়ের সঙ্গীন অবস্থা থেকেই যাব।