শীতের সবজির দামে হাত পুঁড়ছে বাঙালীর
HnExpress ২৮শে ডিসেম্বর, পল মৈত্র, দক্ষিণ দিনাজপুর ঃ গত একসপ্তাহ ধরে রাজ্য জুড়ে হিমেল হাওয়ার সাথে সাথে নেমেছে হাড় কাঁপানো ঠান্ডা, আর এই মরশুমে পিকনিকের আসর যে জমে উঠবে তা বলাই বাহুল্য। তাই রসনাও চাইছে জমিয়ে পেটপুজো। কিন্তু সবজি বাজারে হাত দিলেই তো ছেঁকা! বাজারে শীতের সবজি উঁকি মারলেও দাম চড়া। বিক্রেতারা বলছেন, এখনও জোগান কম। তাই শীতের সময়েও সবজির দামে হাত পুড়ছে বাঙালীর।
ক্যালেন্ডারে যখন অক্টোবর, তার মধ্যেই শীতের আমেজ। বাজারে হাজির নতুন আলু, পালং শাক, শিম, পিঁয়াজকলি। কিন্তু শীতের সবজি কিনতে গিয়ে পকেটে টান। নতুন আলু ৩০ টাকা কেজি—জ্যোতি আলু ২৫-২৮ টাকা কেজি — মটরশুঁটি ১৫০ টাকা কেজি — শিম ১০০ টাকা কেজি — পালংশাক ৪০ টাকা কেজি — মুলো ৪০ টাকা কেজি — বাঁধাকপি ৩০ টাকা কেজি — বেগুন ৩০-৪০ টাকা কেজি — এক সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম ১২০-১৪০ টাকা। পেঁয়াজের দাম ছিল ২৫ টাকা কেজি, আর এখন পেঁয়াজের দাম ৯০-১০০-১২০-১৩০- টাকা কেজি —।
তবে এক সপ্তাহে ফুলকপির দাম কিছুটা কমেছে। প্রতি পিস ফুলকপি ২৫-৩০ টাকা হয়েছে। বিক্রেতাদের দাবি, জোগান বাড়লেই কমবে সবজির দাম। বিক্রেতাদের দাবিই সত্যিই হোক। বাড়ুক সবজির জোগান, কমুক দাম। আর ঘরে ঘরে শুরু হোক সস্তায় ভূরিভোজ। প্রতীক্ষায় আমআদমি। অন্যদিকে শীতের মরশুমস এখন দিকে দিকে পিকনিক শুরু হয়েছে। আর তার আগেই বাজারের সবজির এমন গরম দামে হাত পুড়ছে ক্রেতাদের।
তাদের দাবী আগে ১০০ টাকার বাজার করলে ব্যাগ ভরে গিয়ে সবজি উপচে পড়তো, এখন ১০০ টাকার বাজার করলে ব্যাগে উঁকি মেরে দেখতে হয়। তাছাড়া বাজারের সবজি এমন অগ্নিমূল্য হওয়ায় সবচেয়ে সমস্যায় পড়েছে মধ্যবিত্ত বাঙালী পরিবার গুলো। কবে সবজির দাম কমবে সে আশায় রয়েছেন সকলে।