শারদ উৎসবে উত্তর কলকাতার শেষকথা দমদম নরসিংহ এভিনিউ অ্যাসোসিয়েশন
HnExpress দেবাশিস রায়, দমদম : নাগেরবাজার মোড়, উত্তর কলকাতার শেষতম প্রান্ত। কিন্তু দুর্গোৎসবের দিনগুলিতে এখানে মানুষের ঢল নামে। এবার এই দুর্গোৎসবের ৬৭ তম বর্ষ। দূর-দূরান্ত থেকে আসা অগণিত মানুষের ঢল, উৎসুক চোখে ও মনের কৌতুহলে একটাই প্রশ্ন এই পুজোপ্রাঙ্গণে কবে মিলবে সেই সুখের ঠিকানা। তবু বলা ভালো, উত্তর শহরতলির এই পুজো এবার তাদের শিল্পকলাকে শিল্পী ইন্দ্রজিৎ পোদ্দারের মৌলিক ভাবনা ও নৈপুণ্যতায় তৈরি হচ্ছে। তাঁর হাতের ছোঁয়ায় ২০১৮-র শারদোৎসবের উপস্থাপনা এক অসাধারণ সৃষ্টিশৈলীর নিদর্শন হয়ে উঠবে সন্দেহ নেই। এবারের থিম ‘ঠিকানা’।
যে ঠিকানা আমাদের ভালোবাসা, আমাদের বাঁচার আশা, আমাদের আশ্রয়। বিগত কয়েক বছর ধরে শহরতলির মানুষের মধ্যে জনপ্রিয় হবার পর এবার কলকাতার মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চলেছে ৬৭ বছরের এই পুজো।
সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শুরুর দিকে কুমারটুলির প্রতিমা আনলেও পরবর্তীকালে পার্শ্ববর্তী এলাকার মৃৎশিল্পীদের প্রতিমা মণ্ডপে দেখা যায়। এবছর থিমের সঙ্গে সামন্জস্য রেখে প্রতিমা গড়ছেন মহিলা শিল্পী কাকলি চক্রবর্তী।
গতবছর শিল্পী অনিমেষ দাশ গড়ে তুলেছিলেন পুতুলের স্বর্গ। ওড়িশার পিপলি গ্রামের শিল্পকে প্রাধান্য দিয়ে মণ্ডপে ছিল অসংখ্য পুতুল ও পাখির মডেল।
বর্তমান সামাজিক ব্যবস্থার বিবর্তনে যেখানে যৌথ পরিবার ভেঙে তছনছ হয়ে যাচ্ছে।ছেলেমেয়ের উদাসীনতায় বৃদ্ধ বাবা-মায়ের একাকীত্ব, বিষণ্নতা অসহায়তা মানসিক অবসাদ আত্মহত্যার ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেখানে দাঁড়িয়ে পুজো উদ্যোক্তাদের অনলস প্রচেষ্টায় ফুটে উঠবে ভুবন আলো করে মাতৃ আরাধনার প্রয়াস। দেবীপক্ষের অপেক্ষায় তাই এখন প্রহর গুনছে দমদমের নরসিংহ দত্ত এভিনিউ অধিবাসীরা।
শুধু এই শারদ উৎসবই নয়, বছরভর পুজো উদ্যোক্তারা অংশ নেন নানান সামাজিক কাজে। পাড়ার মহিলাবৃন্দও জড়িয়ে থাকেন এসব কাজে। তাইতো রক্তদান শিবির, বস্ত্রদান ও স্বাস্থ্য শিবিরের মতো অনুষ্ঠানের আয়োজন হয় ফি’বছর। পুজো কমিটির রয়েছে নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবাও।