এক সপ্তাহ রাষ্ট্রীয় শোক পালন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর মৃত্যুতে

HnExpre রাজকুমার দাস, কলকাতা : সু্যোগ্য রাষ্ট্রনেতা তথা লড়াকু প্রধান মন্ত্রী হিসাবে তিনি ছিলেন এক অন্য স্বাদের ব্যাতিক্রমী মানুষ। তাই প্রথম দু’বার প্রধান মন্ত্রী পদের মেয়াদ কম থাকলেও তিনি তার লক্ষে কখনো থেমে থাকেননি।১৯৯৬ সালে গোয়ালিয়র এর মানুষটি প্রথম বার প্রধান মন্ত্রী হন, কিন্তু তা মাত্র ১৩ দিনের জন্য, এরপর ২য় দফায়ের ১৯ শে মার্চ ১৯৯৮ সালে ১৩ মাসের জন্য, এবং পরিশেষে কিন্তু ১৯৯৯ সালে ৫ বছর, ৩৬৪ দিন পূর্ণ মর্যাদায় প্রধান মন্ত্রীর পদ সামলে ছিলেন। তার আমলে সোনালী চতুর্ভুজ অর্থাৎ কলকাতা, চেন্নাই, দিল্লি ও মুম্বাই এর গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় সড়ক তৈরি হয়ে ছিলো, ১৯৯৬সালে। ইং ১৯২৪ সালের ২৫শে ডিসেম্বর মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে এক শিক্ষক পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন তিনি।তাঁর বাবার নাম ছিল কৃষ্ণ বিহারী বাজপেয়ী, মা ছিলেন কৃষ্ণা দেবী। বাবা পেশায় ছিলেন একজন স্কুল শিক্ষক ও কবি।
আজ বিকেল প্রায় ৫:০৫ মিনিটে ভারতের প্রাক্তন প্রধান মন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী দিল্লীর এইমস হাসপাতালে চির তরে হেরে গেলেন জীবন যুদ্ধে, একদিন ঠিক যেমন ভাবে সবাই কে হার মানতে হয় ঠিক তেমনি। এই তিন বার প্রধান মন্ত্রী হিসাবে তার শপথ গ্রহণ করা দেশের ইতিহাসে লেখা থাকবেই। ২০০৯ সালে স্ট্রোক করে ডিমনেসিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে তার প্রায় বাক শক্তি চলে যায়।তারপর থেকে জন সম্মুখে আর তিনি তেমন আসেনি বললেই চলে। ১১ই জুন তিনি কিডনী সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন এবং তার সাথে ছিল বার্ধক্য জনিত নানান ধরনের সমস্যা। প্রায় ৯ সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর ৯৩ বছর বয়সে আজ তিনি চিরবিদায় নিলেন। তার অকাল প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেন তার আমলে (এন ডি এ) মন্ত্রীত্ব প্রাপ্ত ও বর্তমানে বাংলার মুখ্য মন্ত্রী শ্রীমতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলের সকল ব্যাক্তিবর্গ।
তার প্রয়াণে সাত দিন ধরে রাষ্ট্রীয় শোক চলবে। শুক্রবার দিল্লিতে তার অন্তেষ্টি ক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে এবং এদিন কেন্দ্রীয় ও রাজ্য অফিসে অর্ধ দিবস ছুটি থাকবে। তার চলে যাওয়া একটা যুগের অবসান ঘটলো। বিজেপি দলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন তিনি। তার আত্মার শান্তি চির কামনা করি।