রক্ষকই নিল প্রাণ, মদ্যপ ভাইপোর হাতে খুন হলেন আপন কাকিমা—
HnExpress ১৪ই মার্চ, জয় গুহ, বেহালা ঃ রক্ষকই নিল প্রাণ, গতকাল মদ্যপ ভাইপোর হাতে খুন হলেন কাকিমা। বেহালা পর্ণশ্রীর ২ নম্বর রবীন্দ্রনগরে মদ্যপ ভাইপো শুভাশিসের হাতে খুন হলেন কাকিমা। এদিকে শুভাশিস হল কলকাতা পুলিশের একজন কর্মী। খোদ তার উপরই দীর্ঘদিন ধরে কমবেশি বাড়ির সবার উপরেই অত্যাচার করার অভিযোগ উঠেছে, বছর পয়তাল্লিশের শুভাশিস দত্তের বিরুদ্ধে এমনটাই অভিযোগ।
সূত্রের খবর, এদিন নিজের ঘরেই মদ্য পান করছিল শুভাশিস। তখন পাশের ঘরে বছর বাহাত্তরের কাকিমা নমিতা দত্ত ঠাকুর পুজো দিচ্ছিলেন। সেই সময় শুভাশিস হটাৎই হাতে হাতুড়ি নিয়ে ঠাকুর ঘরে ঢুকে কাকিমার উপর চড়াও হয়। বারংবার হাতুড়ির বাড়ি মারতে থাকে কাকিমার মাথার উপর। রক্তাক্ত হয়ে নমিতাদেবী ঘরে লুটিয়ে পড়েন। তারপরই অভিযুক্ত নিজের ঘরে ঢুকে যায়।
যন্ত্রণায় ছটফট করা নমিতাদেবীর কাতর চিৎকারে পরিবারের লোকেরা ছুটে আসে। তারপর তাঁকে পাড়ার লোকেদের সাহায্য নিয়ে পাঠানো হয় বিদ্যাসাগর হসপিটালে। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। ততক্ষণে আহত নমিতা দেবীর মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় রবীন্দ্রনগরে রীতিমত আতঙ্ক ছড়িয়ে পরেছে। পরিবারের লোক ও পাড়ার লোকেরা দাবি তুলেছেন, অভিযুক্ত শুভাশিসের যেন কঠোর শাস্তি হয়। অভিযুক্ত শুভাশিসকে পর্ণশ্রী থানার পুলিশ গ্রেফতারও করেছে।
কিন্তু অবাক করা বিষয় হলো, যার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ, সেই শুভাশিস নিজেই খোদ কলকাতা পুলিশের কর্মী। রক্ষকই যখন ভক্ষক হয়ে ওঠে, তখন সাধারণ মানুষ কার উপরে ভরসা রাখবেন? এখন দেখার বিষয়, বডির পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পাওয়ার পর ও পুলিশের তদন্তের জেরে প্রকৃত দোষী শাস্তি স্বরূপ কারাগারের অন্তরালে ঠাঁই পায় কি না! তবে ইতিমধ্যেই এলাকাবাসীর দাবি উঠেছে দোষীকে চাকরি থেকে সাসপেন্ড করার।