মিললো না সরকারি আনুমানিক হিসেব, এবছর গঙ্গাসাগরের মেলায় পূণ্যার্থী তুলনামূলক কম
HnExpress বিশেষ প্রতিবেদন, গঙ্গাসাগর ঃ এবছর গঙ্গাসাগর মেলায় তেমন চোখে পড়ার মতো ভীড় নেই। অনেক তীর্থযাত্রী মকর সংক্রান্তির আগেই কপিলমুনি দর্শন সেরে ফিরে গেছেন। মকর সংক্রান্তির দিন পূণ্যস্নান উপলক্ষ্যে মেলা ঘিরে অন্যান্য বার যে ভীড় দেখা যায় তা এবার তেমন নেই। মাথায় হাত পড়েছে ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বড় ব্যসায়ীদের। দূর দূরান্ত থেকে আসা নাগা সন্ন্যাসী ও সাধু-সন্তদের প্রণামীর থালাও তেমন ভাবে উপচে পড়ছে না।
একদিকে কুম্ভ মেলা ও অন্যদিকে গঙ্গাসাগরে আসার জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবার কারণে পূণ্যার্থীরা মকর সংক্রান্তির দিন ভীড় এড়াতে আগে ভাগেই কপিলমুনি দর্শন সেরে ফিরে যাচ্ছেন বলে বিশেষজ্ঞদের একাংশের অভিমত। সরকারী ভাবে জানানো হয়েছিল এবারের মেলায় তিরিশ লক্ষেরও বেশি ভীড় হবে। যদিও নিয়মমাফিক সংক্রান্তীর স্নান ১৪ই জানুয়ারি ভোর রাত থেকেই শুরু হয়। তবু তীর্থযাত্রীদের এবারের মেলা ঘিরে বিস্ময়ের শেষ নেই। বিগত দিনের গঙ্গাসাগর আর আজকের গঙ্গাসাগরে উন্নয়নের জোয়ারে যে এত পরিবর্তন তীর্থযাত্রীদের চোখে ম্যাজিক বলে মনে হচ্ছে। তীর্থযাত্রীদের পরিষেবা দেবার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সমস্ত রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
দূর-দূরান্ত থেকে আসা তীর্থযাত্রীদের অনেকেই বলছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মেলাকে এবার জাতীয় মেলা হিসেবে দাবী করতেই পারেন। আপাদমস্তক কর্পোরেট ধাঁচে এই মেলায় অনেক মেডিকেল ক্যাম্প, তীর্থযাত্রীদের বিনাপয়সায় পরিষেবা দিচ্ছেন। তাদের মধ্যে সাংবাদিক সংগঠন অল ইন্ডিয়া ক্রাইম এন্ড ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস্ অ্যাসোসিয়েশনের মেডিকেল ক্যাম্প তূলনা মূলকভাবে যথেষ্ট বেশি পরিষেবা দিয়েছে বলে সূত্রের খবর। আবার অপর দিকে ভূঁয়ো রোগব্যাধি দেখিয়ে জড়িবুটি, তাবিজ-কবজ বিক্রি করে তীর্থযাত্রীদের ঠকিয়ে পয়সা রোজগারও করছে অনেকেই। তা সত্ত্বেও মেলা ঘিরে তার্থযাত্রীদের উন্মাদনা মেলাকে প্রাণবন্ত করে রেখেছে।