‘শ্রী শ্রী বিশ্বমাতা মন্দির’ নির্মাণের শুভারম্ভ হল নিউব্যারাকপুরে
HnExpress অলোক আচার্য, কলকাতা : উত্তর ২৪ পরগনা জেলার নিউব্যারাকপুরের দক্ষিণ কোদালিয়ায় আগামী ১৮ ডিসেম্বর উদ্বোধন করা হবে শ্রী শ্রী সমীর ব্রহ্মচারীর উদ্যোগে। উদ্বোধন করতে উপস্থিত হবেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। এই মন্দিরের বিশেষত্ব এটা ৭২ফুট লম্বা, ৪৮ ফুট চওড়া, ৪৮ ফুট লম্বা। রাজস্থানের বংশীপাহাড়পুরের পাথর দিয়ে মন্দিরটি নির্মিত হবে। নির্মাণ করবেন আহমেদাবাদের বলভদ্র সোমপুরার সংস্থা সোমপুরা স্থাপত্য।
নাগরশৈলী ঘরাণায় গড়ে ওঠা ঐ মন্দিরটি সম্পূর্ণ শাস্ত্র মতে ও দেবশিল্পী বিশ্বকর্মার স্থাপত্যকলার অনুষঙ্গে গড়ে উঠবে। মন্দিরের ভেতরের দেয়ালে থাকবে অষ্টাদশ পুরাণে বর্ণিত বিভিন্ন ঘটনা। বাইরের দেয়ালে থাকবে ১০৮ টি বিভিন্ন দেবদেবীর মূর্তি। থাকবে দশ দিকপাল, নব গ্রহ, দশ মহাবিদ্যা, দশাবতারের ঘটনা। মূল মন্দিরের পাশে থাকবে ১৩টি শিব মন্দির। স্থাপত্যকলার এক অবিস্মরণীয় নিদর্শন হিসেবে নিউব্যারাকপুরের এই মন্দিরটি খুব শীঘ্রই এক দ্রষ্টব্য বিষয়ে পরিণত হতে চলেছে, তা বলাই বাহুল্য।
মন্দিরে সমস্ত জাতি বর্ণ মানুষের প্রবেশাধিকার থাকবে। আত্মার মুক্তির সঙ্গে আর্ত মানুষের সেবাই বিশ্ব সেবাশ্রম সংঘের ব্রত। তাই আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা ঠাকুর শ্রী শ্রী সমীর ব্রহ্মচারী মন্দিরের নাম দিয়েছেন মানবতার সার্বজনীন মন্দির। যেখানে একজন মানুষ লোক হিসেবেই বিবেচিত হবে, জাত বা বর্ণ হিসেবে নয়। সবাই মাকে নিজের ভেবে পুজো নিবেদন করতে পারবেন।
বর্তমানে সমীর ব্রহ্মচারী ও তার সঙ্ঘ নানা রকম জনহিতকর কাজের সাথেও জড়িত রয়েছেন। তিনি দুঃস্থ ছাত্রছাত্রীদের বই খাতা ইউনিফর্ম, জুতো, ব্যাগ প্রদান, গঙ্গাসাগর -কুম্ভমেলায় বিনামূল্যে স্বাস্থ্য ও সেবা শিবির, পথচারীদের জন্য ছাউনি নির্মাণ, জনসচেতনতা মূলক কাজ, স্বনির্ভরতা সহ বিভিন্ন কল্যাণমুখী কর্মসূচির মাধ্যমে সামাজিক কল্যাণের কাজ করে যাচ্ছেন।
তাই এই মন্দির প্রতিষ্ঠা উপলক্ষ্যে গতকাল ১২ই ডিসেম্বর কলকাতার প্রেস ক্লাবে একটি সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে বক্তব্য রাখেন আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা ঠাকুর শ্রী শ্রী সমীর ব্রহ্মচারী, সহ-সভাপতি ড. ধনপতরাম আগরওয়াল প্রমুখ।