ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হুঙ্কার বাংলাদেশের প্রাক্তন সেনা আধিকারিকদের
HnExpress রাজ ঘোষাল, কলকাতা : সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ্জামান এর পরে এবার ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হুঙ্কার ছাড়লেন বাংলাদেশের (India-Bangladesh) প্রাক্তন সেনা আধিকারিকরা। শনিবার ঢাকায় এক রাজনৈতিক সমাবেশে প্রাক্তন সেনা সদস্যরা দিল্লির মোদি সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আপনারা ৭২ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে যেটা দেখেছেন ২০২৪ সালে সেই সেনাবাহিনী এখন আর নেই।
আমরা এখন যে কোন শত্রুর মোকাবিলায় প্রস্তুত। আপনারা আমাদের আর ভয় দেখাতে আসবেন না। আমরা শুধু সশস্ত্র বাহিনী নই, আপনাদের সীমান্তেই রুখে দিতে আমাদের সাথে ১৭ কোটি জনতা আছে। হিন্দু নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরব হওয়ায় সম্প্রতি ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুকে গ্রেফতার করে মোল্লা ইউনিসের (Yunus) পুলিশ। গত ২৬ শে নভেম্বর থেকে চট্টগ্রাম জেলে তিনি বন্দি রয়েছেন।
ইতিমধ্যেই দিল্লি এবং ঢাকার মধ্যে টানাপোড়ন শুরু হয়েছে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতার এবং বাংলাদেশী হিন্দু নির্যাতন নিয়ে। ভারত সার্জিকাল স্ট্রাইক (Surgical Strike) করতে পারে এই খবর শোনা মাত্রই বাংলাদেশের সেনাবাহিনীদের শীর্ষকর্তাদের হাড় কাঁপুনি শুরু হয়েছে। আক্রমণ করে যাতে তার পালটা প্রত্যাখাত করা যায় সেই বিষয়ে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের সেনা চিন্তা ভাবনা করতে শুরু করে দিয়েছে। সেনাবাহিনীর প্রস্তুতির পাশাপাশি শুরু হয়েছে ভারতবিদ্বেষী আন্দোলনও।
পাকিস্তান পন্থী বুদ্ধিজীবীদের পাশাপাশি ভারতের বিপক্ষে নামিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকেও এই ইউনিস সরকার। শনিবার ৭ই ডিসেম্বর ঢাকার (Dhaka) রাওয়াদ কমপ্লেক্সের নিচে বিশাল সমাবেশ করেন প্রাক্তন সেনা কর্মীরা এবং বাংলাদেশের আধিকারিকরা। ওই সভায় বাংলাদেশের প্রাক্তন সেনা কর্তা মণিশ দেওয়ান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে উদ্ধৃত করে হুমকির সুরে বলেন, আজ আমরা এখানে পুনরায় জমায়েত হয়েছি ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ভারতকে উপযুক্ত জবাব দেবার জন্য।
আমাদের সংগ্রাম জারি রাখার জন্য। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী, রাজনাথ সিং ও অমিত শাহ বাহাত্তর সালে যে সেনাবাহিনী দেখেছে আজকের সেনাবাহিনীর সাথে তুলনা করলে ভুল হবে, আমরা এখন আর আগের মত নেই। আমরা এখন যেকোনো শত্রু মোকাবিলায় প্রস্তুত। আপনারা এখন আস্ফালন তুলবেন না ভয় দেখাবেন না। আমরা শুধু সশস্ত্র বাহিনী নয়, একাত্তরের কোটি জনতা প্রস্তুত আছে আপনাদের সীমান্তে রুখে দেবার জন্য। আর এক প্রাক্তন সেনা কর্তা লুৎফুল হক বলেন, আমাদের সাথে ভারতীয়দের সমস্ত জাতীয় চুক্তিগুলো প্রকাশ করা হোক।
যেসব ভারতীয়রা বাংলাদেশে আছে তাদের অবিলম্বে ফেরত পাঠানো হোক। যে সমস্ত ভারতীয় মিডিয়া বাংলাদেশ সরকারের উপরে বিষোদগার করছে তাদের অবিলম্বে নিষিদ্ধ করা হোক। ভারতের হিন্দুদের প্রতি ঘৃণাযুক্ত মন্তব্য ছড়িয়ে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্নেল মোঃ আনসাহরুল্লাহ বলেন, প্রতি বাংলাদেশের লেডি ফেরাউন শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যাবার পরেই ভারতের একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের হিন্দু নেতৃত্বের শ্যেন দৃষ্টি পড়েছে আমাদের দিকে।
তাদের ইদানিং কালের কর্মকাণ্ড সেই দিকে ইঙ্গিত করে। এবং তার সুস্পষ্ট প্রমাণও আছে আমাদের হাতে। কিন্তু ভারতের এটা ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে বাংলাদেশের লাখ লাখ সশস্থ বাহিনীর প্রশিক্ষিত সৈনিক এবং হাজার হাজার প্রশিক্ষিত অফিসার এ দেশে জনগণের পাশে সব সময় ছিল, আছে এবং থাকবে। আমরা যেকোনো সময় দেশের জন্য জীবন বলি দিয়ে আন্দোলনে নামতে প্রস্তুত।