December 10, 2024

বিশ্বকর্মা পুজোয় এক অভিনব নয়া উদ্যোগ

0
18 Sep2018 05
Advertisements

HnExpress সম্রাট গুপ্ত, কলকাতা : অনেকেই আছেন যাঁরা নিজের রোগ গোপন করে রক্ত দিতে ছোটেন শুধুমাত্র গিফটের আশায়৷ তাঁদের রক্ত নর্দমাতেই যায়৷ সারা রাজ্যে রক্তের চরম সংকটের মধ্যে এইভাবেই নষ্ট হয় কয়েক হাজার মিলি রক্ত, সবার অলক্ষে৷ হাটখোলা মেডিক্যাল ব্যাঙ্কের সম্পাদক ডি আশিস মনে করেন, এই অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য দায়ী রক্তদান শিবিরের আয়োজকরা৷ যাঁরা ভালো ভালো গিফটের প্রলোভন দেখিয়ে রক্ত দেওয়ার জন্য টেনে আনছেন৷ রক্তে এইচআইভি, হেপাটাইটিস বি এবং সি, ম্যালিগন্যান্ট ম্যালেরিয়া, ভিডিআরএলের ভাইরাস আছে কি না তা দেখা হয়৷ এর মধ্যে কোনও একটা রোগে আক্রান্ত হলে সেই ব্যাক্তির শরীর থেকে রক্ত নেওয়া হয় না৷ আশিসবাবু বলেন, অধিকাংশ শিবিরে প্রপার চেক-আপ না করেই ব্লাড নেওয়া হয়৷

18-Sep2018-04

প্রতি বছরই গ্রীষ্মের প্রখরতা যত বাড়ে তত রক্তের সংকট দেখা দেয়৷ রক্তের টান পড়েছে ব্লাড ব্যাঙ্কগুলোতে৷ দেখা যায় আর্থিক ভাবে দূর্বল অনেক সংগঠনই রক্তদান শিবির আয়োজন করতে পিছিয়ে যাচ্ছে৷ কেননা, তাদের দামি গিফট দেওয়ার মতো সামর্থ্য নেই৷ তারা ভাবছে, যদি রক্তদাতা না পাওয়া যায়! সেক্ষেত্রে প্রশ্ন ওঠে, রক্তদান তো জীবন বাঁচায়৷ সেই জীবনের মূল্য কি একটা উপহার হতে পারে? এ নিয়ে দীর্ঘকাল ধরে প্রচার চালাচ্ছেন আশিসবাবু।



18-Sep2018-03বিশ্বকর্মা পুজোয় সুপরিচিত এই সমাজসেবীর অন্য ভূমিকা দেখল শহরবাসী। না রক্ত নয়। ’সেফ লাইফ সেভ ড্রাইভ’ প্রচারকে আরও ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন আশিসবাবু। প্রায় দু’হাজার ঘুড়ি তাঁর সংস্থা বিলি করল এলাকার ছেলেদের মধ্যে। অধিকাংশই নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের। ছিলেন নানা বয়সের ঘুড়িপ্রেমীও। ছিলেন কিছু তরুণীও। ঘুড়িতে লেখা, “জীবন বাঁচাও। চালকমামা আসতে চালাও, মরে গেলে মা কাদবে।” শোভাবাজার মেট্রো স্টেশন এলাকা দু’দিন ধরে এ কারণে ছিল রীতিমত প্রানচঞ্চল।

Advertisements

Leave a Reply