বিশেষ ধারাবাহিক প্রতিবেদন : “বিপদ পদে পদে” ১০ম পর্ব
HnExpress সম্রাট গুপ্ত, কলকাতা : বাগরি মার্কেটের আগুন নিয়ে চলছে দোষারোপ চাপানোর পালা। সেখানকার ব্যবসায়ীরা দোষ চাপিয়েছেন প্রশাসন ও মালিকদের ওপর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দোষ চাপিয়েছেন মালিক ও ব্যবসায়ীদের ওপর। চলছে রাজনীতির চাপান উতোর।
মুকুল রায় থেকে রাহুল সিনহা— বিজেপির কিছু নেতা দুর্ঘটনার পর বাগরি মার্কেটে গিয়ে প্রশাসনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছেন। সরব হয়েছেন বিজেপি-র রাজ্যসভার সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ও। তাঁর দাবি, নিজেদের অপদার্থতা ও দোষ ঢাকতে মুখ্যমন্ত্রী দোষ দিচ্ছেন ওখানকার ব্যবসায়ীদের।
গৃহমালিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সুকুমার রক্ষিত বলেন, এক সময় এ শহরে যদুবাবুর বাজার, চূনীবাবুর বাজার, ছাতুবাবুর বাজার, হরিসভা মার্কেট, চারু মার্কেট, শ্রীমানি বাজার, হাতিবাগান মার্কেট— এ রকম অজস্র বাজার তৈরি হয়েছিল ব্যক্তিগত মালিকানায়। বাজারে তৈরি দোকান ভাড়া দিতেন মালিকরা। ১৯৫৬ সালের বাড়িভাড়া আইনের অন্তর্গত হয়ে যায় এগুলি। এর পর ভাড়ার পরিমাণ দোকানিরা বাড়াতে চায়নি। ১৯৯৭ সালে ঠিক হয় ১০ শতাংশ মেনটেনেন্স চার্জ দেবে বাজারের দোকানিরা।
কিন্তু পুরনো হারের ভাড়ার ওপর ওই টাকা এত সামান্য যে মালিকদের মেরামতির প্রায় পুরো টাকাই দিতে হয় নিজের পকেট থেকে। ভাড়ার মূল টাকাও যৎসামান্য এবং অনেক ক্ষেত্রে তা জমা পড়ে রেন্ট কন্ট্রোলে। তাই আইন যা-ই বলুক, মালিকরা অসহায়।
(চলবে)