বিশেষ ধারাবাহিক প্রতিবেদন :”বিপদ পদে পদে” ৭ম পর্ব

HnExpress সম্রাট গুপ্ত, কলকাতা : অগ্নিকান্ডের পর পাক্কা দু‘দিন কেটে গেল। মঙ্গলবারও ঘটনাস্থলে ব্যস্ত দমকল বাহিনী। বাগরি মার্কেটে গিয়ে গতকালই এলাকার বাসিন্দাদের তোপের মুখে পড়তে হয়েছিল দুই মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায় ও ববি হাকিমকে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রশাসনিক এবং সরকারি ঔদাসীন্যের প্রতিবাদেই এলাকার এই হাল। অন্যদিকে, ওই মন্ত্রীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত খবরের ভিত্তিতে ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাগরি মার্কেটে বিপর্যয়ের দায় চাপিয়েছেন এলাকার ব্যবসায়ীদের ওপর। এর আগে সোমবার নবান্ন-র বৈঠকে বিপর্যয়ের নেপথ্যে পুর-ব্যর্থতার অভিযোগ তোলা হয়েছিল।
শারদোৎসবের ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। কেনাকাটার ধুম পড়বে এক-দু’দিনের মধ্যেই। ইতিমধ্যেই জেলার বড়-মাঝারি দোকানদাররা বাগরি মার্কেটে ‘অর্ডার’ পাঠাতে শুরু করে দিয়েছিলেন ফোনে। লরি বোঝাই হয়ে জেলায় জেলায় আর ক’দিনের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ত এখানকার নানা গুদামের সামগ্রী। বছরের এই সময়টাতেই তো ব্যবসা জমে ওঠে। এবারও তার কোনও ব্যতিক্রমের কথা ভাবেননি তাঁরা।
কিন্তু বাগরি মার্কেটে লাগা বিধ্বংসী আগুন এখানকার ব্যবসায়ীদের চলতি বছরের পুজোর বাজারে পাকাপাকি জল ঢেলে দিল বলেই মনে করছেন অনেকে। আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে সমস্ত মালপত্র। এখন আবার এত সামগ্রী কিনে তা বিক্রি করার কোনও উপায় খুঁজে পাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। গুদামজাত পণ্য বাইরে পাঠিয়ে দেওয়ার পর টাকা মেটানোর কথা ছিল মহাজনের। এখন জেলা বা শহরের অন্যত্র থেকে যে ‘অর্ডার’ তাঁরা নিয়ে রেখেছেন, তাঁদের কে কী জবাব দেবেন আর পাইকারি পণ্য যেখান থেকে কিনেছেন, সেখানে টাকা মেটাবেন কীভাবে— তা ভাবতে ভাবতেই বাগরি মার্কেটের শতাধিক ব্যবসায়ীর কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ চওড়া হয়েছে।
(চলবে)