বিশেষ ধারাবাহিক প্রতিবেদন : “বিপদ পদে পদে” – ২পর্ব
HnExpress সম্রাট গুপ্ত, কলকাতা : মাঝেরহাট সেতু ভেঙে পড়ার পর গেল গেল রব উঠেছে। কিন্তু শহরজুড়ে কয়েক হাজার বিপজ্জনক বাড়ি নিয়ে আমরা বাস করছি, সেই বিপদের মাত্রা অনেকেরই জানা নেই। এই তো, মঙ্গলবার শ্যামবাজারের একটি পুরনো বাড়ির একাংশ ভেঙে দু’জন আহত হল। সেই খবর অন্য হাজারো খবরের ভিড়ে মাত্রা পেল না। থেকে গেল লোকচক্ষুর অন্তরালেই!
১৩৫ এ আর বি ক্যানিং স্ট্রিট। এখন রাস্তার নাম বদলে হয়েছে বিপ্লবী রাসবিহারি বসু রোড। পাঁচতলা বিশাল ভবন। চার পাশেই রাস্তা। তিন দিকের এক তলায় দোকান। ভিতরে কত অফিস বা ব্যবসাকেন্দ্র, ওখানকার আবাসিকরাই জানে না। রক্ষণাবেক্ষণের বালাই নেই।
দেওয়ালের অধিকাংশ জায়গায় পলেস্তারা খসে পড়েছে বহুকাল হল। ছাদে, কার্ণিশের আনাচে-কানাচে অজস্র গাছ। সেগুলির শিকর ফাটাচ্ছে দেওয়ালের নানা অংশ। বাড়িটিতে নানা কাজে আসেন বিভিন্ন ধরণের লোক। তাঁদেরই একজন, চন্দননগর এর সূর্য পাল এই প্রতিবেদককে বললেন, “মাঝে মাঝে ভয় হয়। আমার মাথার ওপরেই বুঝি ভেঙে পড়ল একাংশ। পার্ক স্ট্রিটের স্টিফেন হাউসের দুর্ঘটনায় আমার মতই এক আধজন মারা গিয়েছিল, যাঁরা অন্য কাজে ক্ষণিকের জন্য ওখানে আসেন।“
কিন্তু কেন এই হাল? গৃহমালিকদের সংগঠন ‘দি ক্যালকাটা হাউস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন‘-এর সাধারণ সম্পাদক সুকুমার রক্ষিতের মতে, “মূল কারণ সরকারি উদাসীনতা। দুর্ঘটনার পর তদন্ত কমিটি গড়ে এবং হতাহতদের ক্ষতিপুরণ দিয়ে দায় সারার চেষ্টা করে সরকার। সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আগ্রহ নেই। বাম-ডান এব্যাপারে সবাই সমান।“
(চলবে)