বিশেষ ধারাবাহিক প্রতিবেদন : “বিপদ পদে পদে” ৯ম পর্ব
HnExpress সম্রাট গুপ্ত, কলকাতা : জীর্ণ ও বিপজ্জনক বাড়ির মোকাবিলা এবং অনুমোদন ছাড়া নতুন বাড়ি তৈরি রুখতে কলকাতা পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার ও লোকলস্কর রয়েছে। তাদের পুষতে মোটা টাকা খরচ হয় প্রতি মাসে। কিন্তু কাজের কাজ হচ্ছে কতটুকু?
অতি সম্প্রতি ৭৮ ওয়ার্ডের বিপজ্জনক বাড়ি ভাঙতে গিয়ে আক্রান্ত হন পুর ইঞ্জিনিয়ার। রাসমণি রোডের বিপজ্জনক বাড়ি ভাঙতে গেলে বাসিন্দারা বাধা দেন। পরে পুলিসের সাহায্যে কাজ হয়। ইঞ্জিনিয়াররা রীতিমতো আতঙ্কিত। তাঁদের নিরাপত্তা চেয়ে পুর কমিশনার খলিল আহমেদের কাছে প্রস্তাব দেয় পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার অ্যাসোসিয়েশন। এর পরই ‘ডিমলিশন স্কোয়াড’ তৈরির পরিকল্পনা হয়।
আপাতত এই স্কোয়াডে দুই অতিরিক্ত নগরপাল পদাধিকারী, বিল্ডিং এবং সিভিল দপ্তর থেকে দুজন ইঞ্জিনিয়ার রাখার ভাবনা আছে। অন্য কোনও দপ্তর কিংবা পুরসভার বাইরেও কাউকে যুক্ত করা যায় কিনা তা চূড়ান্ত হয়নি। কতজন সদস্য নিয়ে এই স্কোয়াড তৈরি হবে, তা নিয়ে কথা চলছে মাসাধিককাল ধরে। এছাড়া স্থানীয় থানার সাহায্য নেওয়া হবে। ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড টেকনিক্যাল মেনস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে হৃষীকেশ রায়ের বক্তব্য, কোর্টের নির্দেশে পুর আইন মেনেই বিপজ্জনক বাড়ি ভাঙতে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে গিয়ে বিপদে পড়তে হয়।
এদিকে, দগ্ধ বাগরি মার্কেটের বর্জ্য পরিষ্কারের কাজ চলছে। আগুন নিভলেও বাড়ির তৃতীয় ও চতুর্থ তলের একাংশ ভেঙে পড়েছে। আগুনের ফলে এই অংশ যথেষ্ট দুর্বল হয়ে পড়ে। একদিকে তাপ অন্যদিকে জল পড়ার ফলেই তা ভেঙেছে বলে অনুমান। এই অংশে ওঠার জন্য যে সিঁড়ি রয়েছে, সেটিও ভেঙে পড়েছে বলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। এছাড়া, বাড়ির ভিতরে দুটি দোকানের মধ্যে যে গাঁথনি রয়েছে তাও পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। পাঁচ ও ছ’তলার বেশ কিছুটা অংশ ভাঙতে শুরু করেছে। মাঝে মাঝে খসে পড়ছে চাঙড়। যা রীতিমতো বিপজ্জনক বলে দমকলের এক কর্তার বক্তব্য।
বাগরি মার্কেটের বিপজ্জনক অংশগুলি ভেঙে ফেলা অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করছেন ফায়ার অফিসাররা। তা না হলে বড়সড় বিপদের আশঙ্কা থেকে যাবে। এছাড়াও বাড়ির বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দিতে শুরু করেছে। কোথাও লম্বা করে আবার কোথাও অনুভূমিকভাবে দেখা যাচ্ছে ফাটল। তা মেরামত না করে এখানে ব্যবসা শুরু করলে বড়সড় ঝুঁকি থেকে যাবে বলেই মনে করছেন পুলিস ও দমকলের অফিসাররা। দমকলের পক্ষ থেকে বাড়ির এই অবস্থার কথা বিভিন্ন দপ্তরের কাছে জানিয়েও দেওয়া হয়েছে বলে খবর। বাড়ি থেকে মালপত্র বাইরে বের করে আনার কাজ চলছে।
(চলবে)