বিদ্যালয়ের বিদ্যুতের বিল পরিশোধ থাকা সত্ত্বেও কোয়ার্টারের মিটারের লাইন কেটে দিল বিদ্যুৎ অফিস
Advertisements
- HnExpress অলোক আচার্য, নিউব্যারাকপুর : গত ১৬ই আগস্ট সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটে, বিদ্যুতের বিল পরিশোধ থাকা সত্ত্বেও বৈদ্যুতিক বিচ্যুতিকরণের আগাম নোটিশ না জানিয়ে নিউব্যারাকপুর বিদ্যুুৎ স্টেশন ম্যানেজারের নির্দেশে স্থানীয় কলোনি বয়েজ হাই স্কুলের তিনটি কোয়ার্টারের মিটারের বৈদ্যুতিক লাইন কেটে দিল নিউব্যারাকপুর বিদ্যুৎ অফিস। তিনটি মিটারের আই ডি নং হল – 123117354, 123117355, এবং 123117357। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করল নিউব্যারাকপুরের বিদ্যুৎ অফিস। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিদ্যালয়ের এই তিনটি কোয়ার্টারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের প্রদেয় বিল পরিশোধ করা আছে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত। স্বাধীনতা দিবসের পরের দিন এমনই দায়িত্বঞ্জানহীনতার পরিচয় দিল স্থানীয় বিদ্যুৎ স্টেশন ম্যানেজার। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ফলে এলাকায় সংবাদ চাউর হতেই মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিদ্যুৎ অফিসের এহেন অমানবিকতার পরিচয় পেয়ে, যা কিনা আইনতভাবে অপরাধ ও গর্হিত কাজ। ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায় ঘটনা জানাজানি হতেই। আজ ১৭ই আগষ্ট বিদ্যালয়ের তরফে স্থানীয় স্টেশন ম্যানেজারকে বিদ্যুৎ বিচ্যুতিকরণের কারণ জানাতে ডিসকানেশন নোটিশ দেওয়া হয়েছিল কি না, সেই বিষয়ে চিঠি দিতে গেলে তিনি গ্রহণ পত্র নিতে অস্বীকার করেন এবং বিদ্যালয়কে রিসিভিং কপিও দেননি। উপরন্তু বিদ্যালয়ের দেওয়া সমস্ত চিঠি আটকে রেখে দেন। উল্লেখ্য এই বিষয়ে বিদ্যালয়ের তরফ থেকে স্থানীয় নিউব্যারাকপুর থানা, স্থানীয় পৌরসভার পৌরপ্রধান, সাংসদ, রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী, বিধাননগর বিদ্যুৎ ভবনের সার্কেল ম্যানেজারের কাছে সবিস্তারে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বিদ্যালয়ের তরফ থেকে তিনটি কোয়ার্টারের বাসিন্দারা বিদ্যুৎ দপ্তরের এহেন পরিষেবায় ভীষণ কষ্টের মধ্যে দিন যাপন করেছিলেন। উল্লেখ্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, মানুষকে সঠিক সময়ে পরিষেবা দিতে হবে। সেখানে বিদ্যালয়ের তিনটি কোয়ার্টারের আগাম নোটিশ না দিয়েই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হল। যদিও উক্ত তিনটি কোয়ার্টারের প্রদেয় বিল পরিশোধ করা রয়েছে। এমনকি পরের দিন বিদ্যুৎ বিচ্যুতিকরণের কারণ জানতে গেলে বিদ্যালয়ের দেওয়া সমস্ত চিঠি আটকে রাখে এবং রিসিভিং কপি দিতে অস্বীকার করেন। এধরনের কোনো আইন সরকারের আছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিশেষজ্ঞ মহলে। যদিও নিউব্যারাকপুরের বিদ্যুৎ দফতরের স্টেশন ম্যানেজার চন্দ্রিমা সেনগুপ্তের নির্দেশে স্থানীয় বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ করলেন। এলাকার একাংশ শিক্ষক মহল ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন, স্টেশন ম্যানেজারের প্রতি। এলাকায় গ্রাহকদের অতিরিক্ত বিদ্যুতের বিল নিয়েও রয়েছে ভুরিভুরি অভিযোগ। যদিও পরের দিন বিদ্যালয়ের তিনটি কোয়ার্টারের লাইন চালু করে দেয় স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিস। এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, কী কারণে এই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল? একি কোন অভিসন্ধিমূলক ষড়যন্ত্র নাকি, প্ররোচনা নাকি নিছকই হয়রানি? প্রশ্ন কিন্তু রয়েই যাচ্ছে!
Advertisements