“বারো মাসে তেরো পার্বণ ” এখন গঙ্গাসাগরেও
HnExpress নিজস্ব প্রতিনিধি, গঙ্গাসাগর ঃ গঙ্গাসাগরেও এখন চলছে “বারো মাসে তেরো পার্বণ “। সাগরের মেলা অর্থাৎ মকর সংক্রান্তি যেমন সারা দেশের কাছে মাহাত্ম্যপূর্ণ। লক্ষ লক্ষ মানুষ এই গঙ্গাসাগরে পূন্য লাভের আশায় স্নান করতে আসেন। আর তার এক মাস পরই দেখা যায় মাঘী পূর্ণিমা, অর্থাৎ ঠিক তেমনি পূর্ণিমার তিথিতে পুণ্যস্নানে সারা রাজ্যের মানুষ তথা বাঙালিরাও পুণ্য লাভের আশায় রাত ভোর অপেক্ষার পর, ভোর হতেই সূর্যের আলো ফুটুক না ফুটুক ডুব দেয় গঙ্গাসাগরে।
তারপরে কপিলমনি মন্দিরে তারা পুজো দেয়। আর এই কপিল মুনির মন্দির চত্বরে বসেছে নানান ধরনের হরেকরকম জিনিসের দোকান পসার। এখন পূণ্যার্থীদের জন্য যাতে রাতে কোন রকম কষ্ট না হয় সে জন্য সরকারিভাবে তাদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়। স্থানীয় পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে সারারাত যে সমস্ত পুণ্যার্থীরা জেগে থাকেন, তাদেরকে আনন্দ দিতে মেলা চত্বরে বিভিন্ন জায়গায় সংস্কৃতি অনুষ্ঠান এর আয়োজনও করা হয়।
যেমন একদিকে থাকে গাজন, তো আরেক দিকে থাকে যাত্রা। আবার কোথাও হয় তো ম্যাজিক শো। এই ধরনের অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়েই পুণ্যার্থীরা মনোরঞ্জনে মেতে থাকেন সারা রাত। পরেরদিন খুব ভোরে পূর্ণ লগ্নে পূণ্য স্নান সেরে কপিলমুনির মন্দিরে পুজো দিয়ে যে যার বাড়ি ফিরে যায়। এটা বাঙালির কাছে এক মহৎ তীর্থ। তবে এই উৎসব উপলক্ষে দক্ষিণ ২৪ পরগনা সহ অন্যান্য জেলা থেকে আসা মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
গঙ্গাসাগর মেলায় যেমন প্রশাসনিক ব্যবস্থা থাকে সরগরম, এখানে এই অনুষ্ঠানে সেরকম ভাবে প্রশাসনিক ব্যবস্থার সম্ভার না থাকলেও স্থানীয় বিডিও, বিধায়ক, পঞ্চায়েত ও সাগরের দুই থানা মিলেই এই মেলার তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকেন। ফলে এই মেলাকে ঘিরেও সাধারণ মানুষের আবেগ অনেকটাই বেশি।বিধায়ক বঙ্কিম হাজরা জানান, আগের বছরে মাঘী পূর্ণিমাতে প্রায় আড়াই লক্ষ পুণ্যার্থী এসেছিলেন। আর এবছর প্রায় ৪ লক্ষ পুণ্যার্থী এসেছিলেন, এবং তারা পুণ্য স্নান সেরে সুস্থ ভাবেই ফিরে গিয়েছেন যে যার বাড়ি।