ফের বীজপুরে পুলিশি হানা, আটক প্রচুর শব্দবাজি, আটক ২
HnExpress দেবাশিস রায়, কাঁচরাপাড়া : বীজপুর পুলিশ ও বারাকপুর কমিশনারেটের যৌথ উদ্যোগে মঙ্গলবার, ৩০ অক্টোবর কাঁচরাপাড়া ও হালিশহরের বিভিন্ন এলাকায় নিষিদ্ধ বাজির বিরুদ্ধে অভিযান চলে। এগুলি সবই বেআইনি বাজি তৈরির কারখানা। কিছু রাজনৈতিক নেতার মদতে রমরমিয়ে চলে এগুলি।
জানা গেছে, হালিশহরের মল্লিকবাগ কলোনি একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ২২ টিন অ্যালুমিনিয়াম পাউডার, বারুদ ও প্রচুর শব্দবাজি।
দুর্গা পুজোর আগে ১১ সেপ্টেম্বর ভাঙনপাড়া এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর বারুদ উদ্ধার করেছিল বীজপুর পুলিশ। সেগুলি পাশের খালে ফেলে দেওয়াও হয়েছিল। তখন বীজপুর থানার দুই এসআই তাপস ধারা ও গৌরব ব্যানার্জির নেতৃত্বে এই অভিযান চলে। গ্রেপ্তার হন লাটাই ঘোষ নামে এক ব্যক্তি।
দুর্গা পুজোর রেশ মিটতেই ফের সক্রিয় হয়ে ওঠে বীজপুর পুলিশ। তার অন্যতম কারণ, বিসর্জনের দিন একজোড়া বোমাবাজির ঘটনা। এঘটনায় আহত হয় বর্ষা নামে একটি বাচ্চা মেয়ে-সহ জনাচারেক মানুষ।
প্রসঙ্গত, এমনই একটি বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে মাসছয়েক আগে প্রাণ হারান তিন মহিলা কর্মী।
এদিন গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বীজপুর পুলিশের একটি দল ও স্বয়ং বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এই অভিযান চালায়। দলটি হালিশহর মল্লিকবাগের মিঠুন ভক্তের বাড়িতে হানা দিয়ে ২২ টিন অ্যালুমিনিয়াম পাউডার, বারুদ ও প্রচুর শব্দবাজি আটক করেছে। ঘটনায় দুজনকে আটক করা হলেও বাড়ির মালিক উধাও।
যদিও এলাকার কোনও কোনও সংবাদমাধ্যম পুলিশের এই অভিযানকে এলাকার দুস্কৃতিদের বিরুদ্ধে অভিযান বলে উল্লেখ করছেন, বীজপুর পুলিশ তা অস্বীকার করে জানিয়েছে যে অসাধু বাজি কারবারিদের বিরুদ্ধেই অভিযান চলে।
এলাকার মানুষের অভিযোগ, মাঝে মাঝেই পুলিশ এসে অভিযান চালায় এসব অবৈধ বাজি কারখানায়। ধরেও নিয়ে যায় কাউকে কাউকে। কিন্তু দিনঘুরতেই তারা জামিনে ছাড়া পেয়ে যান। মাঠে মারা যায় পুলিশের অভিযান। তাঁদের আতঙ্ক যেকোনও দিন বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে এই বারুদের স্তূপে!
এতো সাংঘাতিক ব্যাপার ! সমাধান জরুরী…..সামনেই পুজো ।