HnExpress অশোক সেনগুপ্ত, কলকাতা : যিনি চুল বাঁধেন, তিনি রান্নাও করেন। তেমনই যিনি সংবাদ সংগ্রহ করেন, তিনি ফুটবলও খেলেন। এক মাঠে কয়েক ঘন্টার মধ্যে ৯৫ সাংবাদিককে ফুটবল খেলতে দেখার দুর্লভ সুযোগ মিলল শনিবার। এঁদের কারও বয়স ছিল ২৫-এর কম, কেউ বা ৭৫-উর্ধ্ব।
ময়দানে কলকাতা রেফারি ক্লাবের মাঠে পড়শি প্রেস ক্লাব আয়োজিত এই প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতায় ছিল ১২টি দল। প্রতি দলে ৮ জন। একসঙ্গে অবশ্য মাঠে নামেন ৫ জন করে। দলগুলি ছিল এ শহরের বিভিন্ন প্রচারমাধ্যম। প্রেস ক্লাবের ছিল তিনটি দল। বিজয়ী ও রানার্স আপ হল যথাক্রমে সংবাদ প্রতিদিন এবং কলকাতা টিভি।
গোলরক্ষবিহীন এই খেলা ছিল প্রতি অর্ধ্বে ৭ মিনিট করে। মাঝে ১ মিনিটের বিরতি। খেলার নির্ঘন্ট তৈরি, জার্সি ও খাবার বিতরন থেকে হরেক বিষয় দক্ষ ব্যবস্থাপকের মত সামলিয়েছেন দুই অভিজ্ঞ সাংবাদিক অরিজিৎ দত্ত ও নিতাই মালাকার। আর, ওঁদের সব ভাবনায় পূর্ণমাত্রায় সায় দিয়ে গিয়েছেন ক্লাবের সভাপতি স্নেহাশিস সুর ও সম্পাদক কিংশুক প্রামাণিক। বল নির্দিষ্ট উচ্চতার ওপরে তোলা চলবে না, নিজের গোলপোস্টের সামনে অর্ধগোলাকার ‘ডি‘-তে ঢোকায় কড়া বিধি— প্রতি মুহূর্তে এ রকম হরেক বিষয় মাথায় রাখতে হয়েছে খেলোয়ারদের।
চৈতালি চট্টোপাধ্যায়, শুক্লা নাগ, রঞ্জনা চট্টোপাধ্যায় এবং আশির দশকের বিশ্বকাপ তারকা মিনতি রায় — সেকালের চার নামী ফুটবলার ছিলেন খেলা পরিচালনার দায়িত্বে। ম্যাচ কমিশনার ছিলেন জাতীয় ক্ষেত্রে সুপরিচিত রেফারি চিত্তদাস মজুমদার। রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ও প্রাক্তন রাজ্যপাল শ্যামল সেন মাঠে এসে এ দিন মিলিত হন খেলোয়ার-সাংবাদিকদের সঙ্গে।