প্রশাসনিক নজরদারির অভাবে সরকারি বাসষ্ট্যান্ডে বাড়ছে সমাজবিরোধীদের আড্ডা
HnExpress পল মৈত্র, দক্ষিন দিনাজপুর : শুধুমাত্র প্রশাসনিক নজরদারি ও উদাসীনতার অভাবে বুনিয়াদপুর সরকারি বাসস্ট্যান্ডে বাড়ছে সমাজবিরোধীদের আড্ডা ও আনাগোনা। এই বাসস্ট্যান্ডের ভবনটি বিগত বাম আমলে তৈরি হয়েছিল। কিন্ত বর্তমানে তা এখন হয়েছে ব্রাত্য। আর তার সাথে জুড়েছে জেলা প্রশাসনের নজরদারির অভাব। কার্যত সঠিক নজরদারির অভাবে ধুঁকছে এই বাসস্ট্যান্ড। এই বাসস্ট্যান্ডে রয়েছে যাত্রী প্রতীক্ষালয়, কর্মীদের থাকার ঘর, উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার টিকিট কাউন্টার সহ প্রায় সব কিছুই জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বহুদিন ধরেই এলাকাবাসীর একটি বাসস্ট্যান্ডের দাবি জানিয়েছিন। তবে আজও রাজ্য সরকার এই বাসস্ট্যান্ড সাধারণ মানুষের জন্য খুলতে না পারলেও বালুরঘাট রায়গঞ্জ রাজ্য সড়কের পাশে শাসক দলের সরকার একটি অত্যাধুনিক বাসষ্ট্যান্ড জনসাধারনের সুবিধার্তে তৈরী করেছেন।
প্রসঙ্গত, পুরোনো এই বাসস্ট্যান্ডটি এখন সমাজ বিরোধীদের আখাড়ায় পরিনত হয়েছে। বহুবার প্রশাসনকে এই বিষয়ে জানানো হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার এক বাসিন্দা জানান, প্রায় কয়েকবছর থেকেই উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার বাসস্ট্যান্ডটি জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে, ঘরগুলো নোংরা যত্রতত্র মদের বোতল, ফিন্সিডিল আরো অন্যান্য মাদক দ্রব্য পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাই বর্তমানে বাসস্ট্যান্ডের ঘরগুলোতে এবং বারান্দায় চলে মদের আসর।বাসস্ট্যান্ড থাকা সত্ত্বেও রায়গঞ্জ মালদা সহ বিভিন্ন এলাকার গাড়ি রাস্তার মধ্যে দাঁড়িয়ে যায়।যানজট হয়। এটি নিত্যদিনের সমস্যা বাসিন্দাদের অভিযোগ প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি।এছাড়া রাতে এখানে চলে বিভিন্ন সমাজবিরোধীদের কাজকর্ম।বুনিয়াদপুর ট্রাফিক মোড়ে পুলিশ থাকা সত্ত্বেও কার্যত প্রশাসনের নাকের ডগায় চলে মদ সহ নানান মাদক সেবনের আসর। স্বভাবতই সেকারনে ক্ষুব্ধ এলাকার মানুষজন।
এই বিষয়ে বুনিয়াদপুর ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক নারায়ণ মণ্ডল বলেন, বুনিয়াদপুরে নির্মিত উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার বাস স্ট্যান্ডটি অনেকদিন ধরে পড়ে আছে। এখানে টিকিট কাউন্টার সহ বিভিন্ন ঘরও আছে। তা সত্ত্বেও বর্তমান রাজ্য সরকার বাস স্ট্যান্ডটি চালু করেনি। রাতের বেলায় সমাজবিরোধী কাজকর্ম হয়। আমরা সেই কারণে পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছি বহুবার কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। কবে এই বাস স্ট্যান্ডটি চালু হবে এখন সেই সমস্যার সমাধানের দিকে তাকিয়ে এলাকাবাসী। তাছাড়া অবিলম্বে এইসব কাজ বন্ধ না হলে বাসস্ট্যান্ড চত্বরে যে কোন সময় বড় কোন দূর্ঘটনা ঘটার আশংকা করছেন শহরের বিভিন্ন মহলের মানুষ থেকে সাধারন মানুষ।