নারী দিবসে ‘পুরুষ কথা’ পত্রিকার দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উদযাপন ও বিশিষ্ট সাংবাদিক সংবর্ধনা
HnExpress অর্জুন কৃষ্ণ সিকদার, কলকাতা ঃ ২০১৭ সালে পথ চলা শুরু করে ‘অভিযান ওয়েলফেয়ার এ্যন্ড চ্যারিটেবল ট্রাস্টে’র। আর গত বছর মানে ২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে আত্মপ্রকাশ হয় পুরুষ কথা পত্রিকার।
বর্তমানে আমাদের সমাজে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন সময়ে কিছু সংখ্যক নির্যাতিত পুরুষের কথা মাথায় রেখেই এই ‘অভিযান ওয়েলফেয়ার এন্ড চ্যারিটি ট্রাস্টে’র শুভ সূচনা করা হয় ৮ই মার্চ ২০১৮ সালে। আর আজ ৮ই মার্চ ২০১৯ সালে সেই সংস্থার অন্তর্গত ‘পুরুষ কথা’ পত্রিকার দ্বিতীয় বর্ষে প্রকাশিত হয় প্রথম সংখ্যা।
এছাড়াও সরকারের কাছে তাদের আবেদন যে, মহিলা কমিশন এর মত একটি পুরুষ কমিশন আনয়ন করা হোক। যার মাধ্যমে কিছু সংখ্যক নির্যাতিত পুরুষও সুবিচার পেতে আইনের দ্বারস্থ হতে পারে। এবারের সংখ্যায় যেমন রয়েছে বেশ কিছু নির্যাতিত পুরুষের অভিজ্ঞতার কথা, তেমনি রয়েছে আমাদের সমাজের ঘটে যাওয়া বাস্তব সত্য নিয়ে কবিদের কিছু লেখনি ও সংবাদ সুত্র।
‘পুরুষ কথা’ পত্রিকার কর্ণধার গৌরব রায়, সম্পাদক দেবাংশু ভট্টাচার্য্য এবং সহ সম্পদক রূপ ব্যানার্জী, উপদেষ্টা মন্ডলী এবং অন্যান্য সদস্য সদস্যা মন্ডলীর উপস্থিতিতে কলকাতা প্রেস ক্লাবে ‘জীবনকৃতী’ সম্মানে সম্মানিত করা হয় বিশিষ্ট সাংবাদিক তথা আজকাল পত্রিকার সিনিয়র সাব এডিটর দেবাশিস দত্ত সহ বরিষ্ঠ সাংবাদিক রজত রায়চৌধুরী, প্রসূন গুপ্ত, অয়ন ভট্টাচার্য ও কিংশুক প্রামানিক মহোদয় কে।
এছাড়াও বিশিষ্ট গণমাধ্যম HnExpress ডিজিটাল মিডিয়া এর কর্ণধার ও প্রতিষ্ঠাতা ইন্দ্রাণী সেনগুপ্ত (সম্পাদিকা) সহ হাউসের অন্যান্য সাংবাদিকগণ ও আরও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এর বহু সাংবাদিক এবং সম্পাদক – সম্পাদিকাকে সম্মানিত করা হয় নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা তথা সংবাদমাধ্যমে তাদের বিশেষ অবদানের জন্য। ‘পুরুষ কথা’র কর্ণধার গৌরব রায় আগামী দিনে সকল সাংবাদিক ও গণমাধ্যম কর্মীদের তাদের পাশে তথা সত্যের সঙ্গে থাকার আহ্বান জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
বিগত বেশ কিছুবছর ধরে আমাদের সমাজে নারী পুরুষের সম্পর্ক নিয়ে টানাটানি চলছে। অনেকেই হয়তো বলবেন যে এটা নতুন কোন ব্যাপার নয়, বহু দিন ধরেই এরকম চলছে। দুঃখিত আমি তাদের সঙ্গে একমত হতে পারছি না। আজকে মেয়েরা অনেক বেশি স্বাধীনতা পেয়েছে, কিন্তু অনেকেই সেই স্বাধীনতার অপব্যবহার করছে। এর পেছনে বাবা মার সমর্থন রয়েছে, বিশেষ করে মা দের । কারণটা এই যে অনেক মা ই মনে করেন যে তারা যে স্বাধীনতা পান নি সেটা তাদের মেয়েরা পাক। এর পেছনে পশ্চিমি অপসংস্কৃতির হাত আছে। আজকে বেশিরভাগ মানুষ চটকদার জীবনের মায়াজালে পড়ে সত্যম, শিবম, সুন্দরমকে ভুলে গেছে। একটাই জীবন, পুনর্জন্ম বা কর্মফল বলে কিছু নেই, সুতরাং খাও, পিও, মৌজ করো। ব্যাপারটা অত সহজ নয়। এখানেই পূর্ব ও পশ্চিমের তফাত। দুদিনের জাঁকজমকে মজে গিয়ে চিরন্তন আধ্যাত্মিক সত্যকে অমান্য করার মতো বোকামি সত্যিই দুঃখজনক। এইজন্য আর্থার সোপেনহাওয়ার বলেছিলেন, “The supreme blasphemy is the denial of the industrictable essence within us”.
বাঃ ! দুর্দান্ত খবর ॥