পুজোয় বেড়াতে যাওয়া বাতিল, আত্মঘাতী বৃদ্ধা

HnExpress দেবাশিস রায়, হালিশহর : কথা ছিল মেয়ে-জামাই, ছেলে-বৌমা সবাই মিলে পুরী বেড়াতে যাবেন অনিতা দত্ত। বছর ৫৮-র অনিতাদেবীর আর পুরী যাওয়া তো হলই না, তাঁকে মহালয়ার ভোরে তাঁকে চলে যেতে হল ধরাধাম থেকেই। হালিশহর রাজা কমপ্লেক্সের ঘটনা। মাকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হয়েছেন ছেলে অরিন্দম ওরফে সোনাও। তাঁকে কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। পেশায় অরিন্দম স্থানীয় একটি প্রাইভেট স্কুলের কম্পিউটার টিচার।

ঘটনা সূত্রে জানা গেছে, ১০ অক্টোবর, বুধবার স্বপরিবারে পুরী যাবার কথা ছিল অনিতা দেবীর। সেইমতো টিকিট কাটা, হোটেল বুকিং সব কমপ্লিট। তাঁর সঙ্গী ছেলে সোনা-বৌমা মৌসুমী ও মেয়ে-জামাই। কিন্তু বাধ সাধে সরকারি কর্মী জামাইয়ের ছুটি বাতিল হয়ে যাওয়ায়। এতে অনিতাদেবী ছেলে-বৌমাকে বলেন, বেড়ানোটা বাতিল করার জন্য। ছেলে রাজি হলেও বৌমা রাজি নন। প্রথমে তর্কাতর্কি, পড়ে তা চরমে ওঠে। আর তার জেরেই গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন অনিতাদেবী রবিবার রাতে। যদিও এই আগুন ধরানোর ঘটনায় বৌমা মৌসুমীর দিকেও অভিযোগের আঙুল তুলেছেন আবাসনের পড়শিদের একাংশ।

আবাসনে সম্পাদক স্বপন কুশারী জানান, মাকে বাঁচাতে গিয়ে পুড়ে যান ছেলেও। চিৎকার চেঁচামেচি শুনে আবাসনের পড়শিরা ছুটে আসেন। তাঁরাই আহত মা ও ছেলেকে কাঁচরাপাড়া রেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে অগ্নিদগ্ধ রোগীর চিকিৎসার তেমন সুবিধা না থাকায় কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় বলে শ্রীকুশারী জানান। সোমবার ভোরে মা অনিতাদেবী মারা যান। আহত ছেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

1 thought on “পুজোয় বেড়াতে যাওয়া বাতিল, আত্মঘাতী বৃদ্ধা

Leave a Reply

Latest Up to Date

%d bloggers like this: