পাকিস্তানের উচিত অবিলম্বে নিজের জমি থেকে সন্ত্রাসের শিকড় উপড়ে ফেলা ঃ ডোনাল্ড ট্রাম্প
HnExpress নিউজ ডেক্স, ভাস্কর বাগচি ঃ প্রথম দিন থেকেই ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানকে শান্তির ও নম্র হওয়ার বার্তা দিয়ে এসেছে আমেরিকা। পাকিস্তানে সার্জিকাল এয়ার স্ট্রাইকের পর ভারতের পাশে এসে দাঁড়ালেন আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। তৎসহ বিশ্বের তাবড় তাবড় শক্তিধর দেশ ভারতের পাশে থেকে পাকিস্তানকে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে৷
মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট মাইক পম্পেও এক বিবৃতিতে বলেছেন, “ভারত ও পাকিস্তান দু’দেশকেই সংযত হতে বলেছি। কোনও ধরনের সামরিক অভিযানে না করার অনুরোধ জানিয়ে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশির সঙ্গে কথা বলেছি আমরা। পাকিস্তানের উচিত অবিলম্বে নিজের জমি থেকে সন্ত্রাসের শিকড় উপড়ে ফেলা” – এমনটাই বললেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
গতকালই পাকিস্তানকে আরও একটা ধাক্কা দিয়েছেন রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি। ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে তিনি আবেদন জানিয়েছেন, পাকিস্তানকে সাহায্য দেওয়া বন্ধ করুক আমেরিকা। যতদিন সন্ত্রাসবাদীদের মদত দেওয়া না থামাচ্ছে ইসলামাবাদ, ততদিন তাদেরকেও যথেষ্ট চাপে রাখা উচিত বলে তিনি মনে করেন। এই বিষয় নিয়ে হ্যালি সংবাদমাধ্যম কে বললেন, “আমেরিকার থেকেও প্রচুর অর্থ নিয়ে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বরাবরই দ্বিচারিতা করে গিয়েছে পাকিস্তান।” কিন্তু আর তা সহ্য করা হবে না। এদিকে কূটনৈতিক স্তরে ভারত বড় সাফল্য লাভ করেছে এবং আন্তর্জাতিক স্তরে আরও কোনঠাসা করে দেওয়া হয়েছে নৃশংস জঙ্গি তৈরির দেশ পাকিস্তানকে৷
সম্প্রতি কাশ্মীরের পুলওয়ামাতে সেনা কনভয়ের উপর নৃশংস আত্মঘাতী হামলা চালানোর দায় স্বীকার করে নিয়েছে পাকিস্তানে লালিত পালিত জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ৷ কিন্তু এত কিছু স্বত্তেও এই জঙ্গি সংগঠনটির মাস্টার মাইন্ড মাসুদ আজাহারকে এখনও কেন আশ্রয় দিয়ে রেখেছে পাকিস্তান? এখন এটাই বড় প্রশ্ন ভারত সহ গোটা রাষ্ট্র সংঘের। আর তাই জঙ্গি মাসুদ ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের বিশ্বের যে কোন প্রান্তে যাওয়ার উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করা উচিত। এবং তাদের এই অসৎ উদ্দেশ্যর জন্য সঞ্চিত অর্থ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার আবেদন নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ জন দেশের সদস্যদের কাছে রেখেছে আমেরিকা, ইংল্যান্ড এবং ফ্রান্স৷ আর এতেই একটা বড় রকমের সাফল্যতা পেয়েছে বরাবরই শান্তি প্রিয় ভারত৷