ব্রেকিং নিউজ : মধ্যমগ্রামে ড্রেনের মধ্যে পাওয়া গেল যুবকের ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ
HnExpress অলোক আচার্য, মধ্যমগ্রাম : রহস্য জনক ভাবে খুন হল মধ্যমগ্রামের বিধানপল্লীর এক তরতাজা যুবক। আজ সকালে রাস্তার পাশে ড্রেনের ভিতরে রক্তাক্ত অবস্হায় তার মৃতদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। সুত্রের খবর, মাথায় ইট বা ভারী জাতীয় কিছু দিয়ে থেঁতলে আঘাত করে মেরে কলাপাতার জঞ্জাল দিয়ে ঢেকে দিয়ে দুস্কৃতিরা পালিয়ে যায়।
পুলিশ জানিয়েছেন ছেলেটির নাম চন্দন দাস। বয়স ৩৫। সে বিধানপল্লীর বাসিন্দা। সোনার কাজ করত। পুলিশ সুত্রের খবর, ছেলেটি মদ্যপ অবস্হায় ঘোরাঘুরি করত। ড্রেনের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্হায় মৃতদেহ পাওয়া গেছে। তবে ময়না তদন্ত রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত পরিষ্কার করে বলা সম্ভব নয় এটি খুন না আত্মহত্যা। এদিকে চন্দনের মা অঞ্জু দাসের অভিযোগ যে, তার ছেলেকে খুন করা হয়েছে খুব ঠান্ডা মাথায়। মেজ ছেলে মরে যাওয়ার পর থেকে চন্দন মদ খাওয়া শুরু করে। প্রায় প্রতিদিনই মদ খেয়ে সে বাড়ি ফিরত, কিন্তু তার মৃত্যূর কারণ মদ নয়। শনিবার সন্ধ্যার সময় সে ১০ টাকা চায় আমার কাছে। তারপর বাড়ি থেকে বের হয়। যত রাতই হোক সে বাড়ি ফিরে আসত, কিন্তু কাল আর ফিরেই এল না। বৌ বাজারে সোনার দোকানে কাজ করত। চার পাঁচ মাস হল কাজ করে না। বাড়িতে বসে মাছের বরশী বানায়। বড় ছেলে চন্দনের চাল চলনে পছন্দ করত না। কথাও বলত না।
এদিকে দীর্ঘ খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে পরদিন সকালে এক প্রতিবেশি খবর দেয় রাস্তার ড্রেনে চন্দনের রক্তাক্ত অবস্হায় মৃতদেহ পরে রয়েছে। অঞ্জু দেবী জানান আমি আয়ার কাজ করি। অভাবী সংসারে তিন ছেলে এক মেয়ে। মেয়ের দমদমে বিয়ে দিয়েছি। স্বামী মারা গেছে ১৮ বছর হল। অঞ্জু দেবীর অভিযোগ সহ দাবী, আমার ছেলেকে যারা মেরেছে সেই দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি চাই আমি। মধ্যমগ্রাম বয়েজ হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করে চন্দন। বাড়িতে বসে সে নাকি কবিতাও লিখত। চন্দনের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।