পাঁচ সমাজকর্মীকে গ্রেফতার, প্রতিবাদে রাষ্ট্রপতিকে স্মারকলিপি
HnExpress সম্রাট গুপ্ত, কলকাতা : ভারভারা রাও-সহ পাঁচ সমাজকর্মীকে মহারাষ্ট্র পুলিশ এর গ্রেফতারের প্রতিবাদে এ রাজ্যের ‘সেভ ডেমোক্রাসি‘-র তরফে একটি স্মারকলিপি পাঠানো হচ্ছে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে। এতে সই করেছেন উপস্থিত বুদ্ধিজীবীরা-সহ সমাজের বিভিন্ন পেশার নামী ৩০জন ব্যক্তি।
স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে আছেন প্রাক্তন মেয়র বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য, প্রাক্তন উপাচার্য সুদীন চট্টোপাধ্যায়, সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অশোক গাঙ্গুলি, অমিয় বাগচি, বাণী বসু, তরুণ মজুমদার, নবনীতা দেবসেন, আব্দুল মান্না, অরুণাভ ঘোষ, দিপালী ভট্টাচার্য প্রমুখ।
বুধবার এ ব্যাপারে কলকাতা প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে শিক্ষাবিদ সুকান্ত চৌধুরী অভিযোগ করেন, রাজনীতির ঔদ্ধত্যের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে সরকারি ক্ষমতা। এই প্রবণতার নিন্দা করছি। আইনটাকে অনাচারের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। দীর্ঘদিন কেউ আইনি লড়াইয়ে থাকার পর তাঁর জীবন দূর্বিষহ হয় ওঠে। এর পর তিনি নির্দোষ হিসাবে ছাড়া পেলেও তার প্রবল মাশুল গুনতে হয়। বদনাম দিয়ে যে কাউকে এ ভাবে শাসকরা নাগরিকদের উৎপীড়নের মধ্যে রাখে। কেন্দ্র-রাজ্য উভয় স্তরে এই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
সুদীন চট্টোপাধ্যায় বললেন, গণতন্ত্রের স্বার্থে, আইনের স্বার্থে, নাগরিক অধিকারের স্বার্থে আমাদের সকলের এ রকম সরকারি ভূমিকার প্রতিবাদ করা উচিত। ভিমা কোরেগাঁও ঘটনায় অভিযুক্ত যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাঁরা প্রত্যেকেই স্বনামধন্য, সুপরিচিত। দেশদ্রোহী নন।
অশোক গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, মহারাষ্ট্রের ভিমা কোরেগাঁও এর ঘটনায় পাঁচজনকে মাঝরাতে এমনভাবে গ্রেফতার করা হল, যেন ওঁরা সত্যি মাওবাদী। যেন দাগী অপরাধী। অথচ, ওঁরা সমাজের নানাভাবে প্রতিষ্ঠিত। সরকারের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করলেই রাজরোষ নেমে আসে। এটা কেন্দ্র-রাজ্য উভয় সরকারেরই অভ্যাস।
বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, গণতন্ত্র আজ আক্রান্ত। আইনকে বেআইনি পথে ব্যবহার করা হচ্ছে। এটা ফ্যাসিবাদের নতুন রূপ। পশ্চিমবঙ্গে ২০১১ থেকে এ ব্যাপারে নতুন একটা পর্ব শুরু হয়েছে। শাসকদের মনোভাব, আমার সঙ্গে তুমি থাকলে ভাল। অন্যথায় মুস্কিল।
এছাড়াও এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে ছিলেন দিপালী ভট্টাচার্য, শিল্পী ওয়াসিম কপূর প্রমুখ।