পরিবর্ত রুটের আকাল, নৈরাজ্যের অভিযোগ অটো নিয়ে
HnExpress সম্রাট গুপ্ত, কলকাতা : কথায় বলে, কারও পৌষ মাস, কারও সর্বনাশ। মাঝেরহাট সেতু দুর্ঘটনার পর মূল সড়কপথ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় একদিকে নিত্যযাত্রীরা সঙ্কটে। অন্যদিকে এক শ্রেণির অটোচালক যা ইচ্ছে তাই ভাড়া হাঁকছেন।
মঙ্গলবার দুর্ঘটনার দিন থেকেই শুরু হয়েছে এই অমানবিক অবস্থা। তারাতলার অটোর নির্দিষ্ট দূরত্বের ভাড়া যেখানে ১০ টাকা, সেখানে যাত্রীদের কারও কারও কাছ থেকে ৩০-৪০ টাকা, এমনকি ৫০ টাকা অব্দি নেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠছে। এ নিয়ে যাত্রীদের একাংশের সঙ্গে বচসা তৈরি হচ্ছে অটো চালকদের সাথে। কিছু যাত্রীরা নিজেদের স্বার্থে বাড়তি ভাড়া দিতে বাধ্য হচ্ছেন।
পুলিশ অবশ্য এ রকম কোন অভিযোগ আসেনি বলে দায় এড়ানোর চেষ্টা করছে। তবে পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতিতে ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের তরফে গাড়ির রুট পরিবর্তনের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী, E-4, 7A, 7C, 7E, 7D রুটের গাড়ি হাওড়া স্টেশন থেকে ছাড়ার পর সোজা খিদিরপুর পর্যন্ত স্বাভাবিকভাবে যাবে। সেখানে থেকে বেঁকে যাবে ফ্যান্সি মার্কেটের দিকে। এর পর হাইড রোড, বাবুবাজার, ব্রেস ব্রিজ হয়ে তারাতলা সংযোগস্থল। সেখান থেকে স্বাভাবিক রুট।
E-4, 7A, 7C, 7E, 7D রুটে যেসব গাড়ি পর্ণশ্রী, তারাতলা ডিপো এবং ব্রেস ব্রিজ থেকে ছাড়বে সেগুলি সোজা তারাতলা ডিপো পর্যন্ত স্বাভাবিকভাবে যাবে। সেখান থেকে হাইড রোড, বাবুবাজার, ফ্যান্সি মার্কেট হয়ে খিদিরপুর। এর পর স্বাভাবিক রুট।
বেহালা ও শহরতলীর জন্য যেসব ছোট রুটে বাস চলছে, টালিগঞ্জ মেট্রো থেকে বেহালা, টালিগঞ্জ থেকে বেহালা চৌরাস্তা, টালিগঞ্জ মেট্রো থেকে তারাতলা নিউ আলিপুর স্টেশন থেকে বেহালা চৌরাস্তা, বেহালা থেকে ডায়মন্ডহারবার, বেহালা চৌরাস্তা থেকে দস্তিপুর, তারাতলা থেকে বজবজ|
প্রত্যেকটি রুটেই ৩ থেকে ৫ টি বাস চালানো হচ্ছে। তবে বেশ কিছু বাসকে স্ট্যান্ডবাই হিসেবে রাখা হয়েছে। প্রয়োজন পড়লেই যে কোনও রুটে পাঠিয়ে দেওয়া হবে এমনটাই সুত্রের খবর।