ন্যাশনাল ফটোগ্রাফি অ্যাওয়ার্ড সাঁকরাইলের রণিতার
HnExpress সৌম্যজিৎ চক্রবর্তী, হাওড়া : তাঁর খেতাবের তালিকায় আগেই এসেছে রাজ্যস্তরের পুরস্কার। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও মিলেছে বহু স্বীকৃতি। এবার ফটোগ্রাফিতে দেশের সর্বোচ্চ সম্মান ‘ন্যাশনাল ফটোগ্রাফি অ্যাওয়ার্ড’-ও তাঁর ঝুলিতে। তিনি সাঁকরাইলের হাটগাছার রণিতা রায়।
ফেব্রুয়ারির ১৯ তারিখে দিল্লির ন্যাশনাল মিডিয়া সেন্টারে তাঁর হাতে ‘সপ্তম ন্যাশনাল ফটোগ্রাফি অ্যাওয়ার্ড’-এর মানপত্র ও স্মারক তুলে দেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী রাজ্যবর্ধন সিংহ রাঠৌর।
রণিতার বেড়ে ওঠা হাওড়ার সাঁকরাইলে। পড়াশোনা আন্দুলের গ্রাম্যহিতকরী বালিকা বিদ্যালয়ে। তারপরে হাওড়ার নরসিংহ দত্ত কলেজ হয়ে আশুতোষ কলেজ। বর্তমানে স্নাতকোত্তরের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।
কিন্তু ফটোগ্রাফি শিখতে সেই অর্থে প্রথাগত কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাননি। তাঁর মেন্টর তথা গাইড সুদীপ্ত চক্রবর্তীর ক্রমাগত অনুপ্রেরণা, কিছুটা অন্যের ছবি দেখে শেখা, বাকিটা নিজের চেষ্টায় মিলেছে এই সাফল্য।
তবে যাত্রাপথ সহজ ছিল না মোটেই। ফটোগ্রাফি শুরু করেছিলেন মানসিক অবসাদের প্রতিষেধক হিসেবে। সালটা ২০১৪, ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির উপায় খুঁজতে এক তুতো-ভাইয়ের ক্যামেরায় হাতেখড়ি। পরের বছর বাবার কিনে দেওয়া ক্যামেরা। ক্রমে তাই-ই যে কখন নিজের অজান্তে মেডিটেশনের মাধ্যম হয়, টের পাননি।
রণিতা বলেন, কলকাতার বাইরের মফস্বল থেকে যাওয়ায় এড়িয়ে চলেছেন অনেকেই। তবে সেসবে আমল না দিয়ে লক্ষ্যে স্থির থেকে জবাব দিয়েছেন নিজের ছবির মাধ্যমে। এসেছে একের পর এক খেতাব। আগামীদিনেও লক্ষ্য স্থির রাখতে চান ক্যামেরার ভিউ ফাইন্ডারেই।